তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি॥ বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রিকো হাতীবান্ধা,লালমনিরহাট। উজানের ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা নদী। আজ রবিবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এদিকে তিস্তা নদীর পানির তোড়ে সিংগিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী গ্রামের রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীসহ লোকজনের ভোগান্তি বেড়েছে।
এদিকে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দেয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা তিস্তা চর বেস্টিত গ্রাম গুলোর বসতঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানিয়েছে। ফলে তিস্তার চরের চর গড্ডিমারী, চর ধুবনী, সিংগিমারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ি, আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বসবাসরত পরিবারগুলো আতংকিত হয়ে পড়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
তবে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, তার ইউনিয়নের চর গড্ডিমারী এলাকায় বসবাসরত ৩ শতাধিক বাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারনে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে। এদিকে তিস্তা অববাহিকার জনপ্রতিনিধিরা জানায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি মানেই উজানে ভারী বৃদ্ধিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়াই প্রধান কারন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন পুর্বাভাস ও সর্তকীকেন্দ্র তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, রবিবার বিকাল ৪ টায় ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৫৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এ ছাড়া ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকায় বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৯৯ মিলিমিটার। এলাকাবাসী জানায় চরগ্রামের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। পলিতে ভরে থাকা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই পানি উপচে এলাকা প্লাবিত করে দেয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম জানান আজ রবিবার সকাল হতে তিস্তা নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আমরা সর্তকাবস্তায় থেকে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বন্যা মোকাবেলায় আমাদের আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।