প্রধান মেনু

গণ-অভ্যুত্থান দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১০ মাঘ (২৩ জানুয়ারি) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ জানুয়ারি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নিম্নাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। ফলে আরো তীব্রতর হয় স্বাধিকার আন্দোলন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীনউদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে বন্দি করে। এ মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনতা দুর্বার ও স্বতঃস্ফূর্ত গণ-আন্দোলন গড়ে তোলেন।

বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এদিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমনপীড়ন ও সান্ধ্যআইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহিদ হন নবমশ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছি। আসুন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমি শহিদ মতিউরসহ মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী

হোক।”