বেলকুচিতে আজও বিচার পায়নি নির্যাতিত আনজেলা খাতুন

নিজস্ব প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জঃ জীবন যুদ্ধে পারি দিয়ে ভেঙ্গে গেছে আনজেলার সংসার। সংসার জীবনে মানুষের অনেক স্বপ্ন থাকে। তেমনি স্বপ্ন আনজেলারও ছিল। আজ সমাজ কতোটা অধপতনে চলে গেছে তার বাস্তব দৃষ্টান্ত আনজেলার জীবন লক্ষ করলে দেখা যায়। নির্যাতিত অসহায় আনজেলা খাতুন(২৫) সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা মুলকান্দি গ্রামের ওসমান দেওয়ানের মেয়ে । বাবার সংসারে খুব হাসি খুসি ভাবে জীবন কাঠতো আনজেলার। তাই বাবার সংসার থেকেই ১১/০৬/২০০৯ ইং তারিখে যথারীতি ইজাব কবুলের মাধ্যমে রেজিঃ কাবিন মুলে টাংগাইল জেলার ভুয়াপুর থানার মেঘার পটল গ্রামের মৃত নবজেস আলীর ছেলে মোঃ ছাইফুল ইসলামের (৩০)সাথে তার বিবাহ হয়।
বিবাহ কালিন সময়ে স্বামীর যৌতুকের দাবি সহ অন্যান্য দাবি পুরনের মধ্য দিয়ে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পার হতে না হতেই তার জীবনে অশান্তি নেমে আসে। আনজেলা খাতুন জানান বিবাহ অন্তে স্বামীর আলয়ে স্বামীর সাথে ঘর সংসার করাবস্থায় স্বামীর ঔরষে এবং আমার গর্ভে ১ পুত্র সন্তান নাম ইয়াসিন আলী বয়স ২ বৎসর জন্ম গ্রহন করিয়া জীবিত আছে। তারপর আমি আবার সন্তান সম্ভবা হইয়া পরি এমনকি আমি গর্ভবতী হই। এমতাবস্থায় আমার স্বামী সাইফুল ইসলাম,ভাসুর জহের আলী,শাশুরী আসমা বেগম আমার উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার স্বামী সাইফুল ইসলাম ব্যবসায়ের কথা বলে আমাকে আমার বাবার নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বলে এবং সেই সাথে আমাকে বাড়ীর সবাই অত্যাচার করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
বিতারিত হইয়া বাবার সংসারে আসার পর আগষ্ট ২০১৭ তে আমি একটি কন্যা সন্তান নাম মোছাঃ শারমিন খাতুনকে প্রসব করি। এখন আমি স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত হয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে কিভাবে বেচে আছি? এটাই কি জীবন। আরো অনেক দুঃখ কষ্ট ও নির্যাতনের কথা সাংবাদিকদের সামনে বলে কান্নায় ফেটে পরে আনজেলা খাতুন। তিনি আরো বলেন কি অন্যায় করেছি আমি? কি দোষ ছিল আমার দুই অবুজ শিশু সন্তানের?তাই আপনাদের মাধ্যমে সরকারের নিকট দাবি এর উপযুক্ত দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই। যা দেখে কেউ যেন এমন অমানবিব অত্যাচার নির্যাতন করতে সাহস না পায়। এ বিষয়ে ২২/১১/২০১৭ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।