আশুলিয়ায় দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ এর নামে ব্যাপক দূর্নীতি

আশুলিয়া: আশুলিয়ায় মধ্য গাজীরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকায় দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতার নামে ব্যাপক দূনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রতি বছরই নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আকর্ষনীয় বেতনে শিক্ষক
শিক্ষিকা নিয়োগ এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে বিনা বেতনে শিক্ষক শিক্ষিকা ছাটাই প্রক্রিয়া শুরু করে। ছাটাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতি বছর ১৫-২০জন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ-ছাটাই চলে। যার জন্য কোমল মতি(তরুন) শিক্ষার্থীরা কোন কিছুই শিখতে পারছেনা। ফলে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের বিষয়টি দিন দিন লোপ পাচ্ছে। বিনা বেতনে ছাটাই হয়ে যাওয়া শিক্ষক জাহিদ এবং তার স্ত্রী শিক্ষিকা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে, যার নং-১৬৪৮, ২৪/০১/২০১৮ইং। জানাযায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম শফিক একজন ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়–য়া। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড শব্দটির অর্থই যার জানা নেই। সমাজ এবং জাতি তার নিকট থেকে কখনই ভালো শিক্ষা বা ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে তো নয়ই। কেননা উক্ত প্রতিষ্ঠানের এডমিন অফিসার শফিকুলের শ্যালক মোঃ মোমিন সেও চট্টগ্রাম হাট হাজারি কওমী মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেছে বলে জানাযায়। উক্ত স্কুল এন্ড কলেজের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ প্রসঙ্গে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম শফিক কে জানতে চাইলে তিনি জানাতে ব্যর্থ হয় এবং বিষয়টি এড়িয়ে যায়। জানাযায়, এই শফিক দীর্ঘদিন আগে এই এলাকায় এসে জুট ব্যবসায়ীদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করতেন। পরে একটি গোডাউন ভাড়া নিয়ে গার্মেন্টেসের পরিত্যাক্ত জুট ক্রয় করে নিজেই ব্যবসা শুরু করে। জশ ও খ্যাতি বাড়াতে এবং রাতারাতি কোটিপতি বনে পাড়ি জমাতেই স্কুল ব্যবসা শুরু করে বসেছে। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্বারা বাধ্যতামূলক শিক্ষার্থীদের কোচিং ব্যবসাও জমজমাট করে তুলেছে। যা কিনা সরকারি ভাবে একেবারেই নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাবা তাফসিরা ইসলাম লিজাকে জানতে চাইলে তিনি জানায় বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।পাঠকগণ চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়…..শফিকের গ্রামের বাড়ী নওগা জেলার আত্রাই থানা এলাকায় তথ্য সংগ্রহ চলছে।