প্রধান মেনু

মিরপুরে- ঢাকা ১৬ আসনে ৩ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা

মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা, খেলার মাঠ পূনরুদ্ধার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্ভর্ধনা ও সাংস্কৃতি সন্ধা
কাজী ওবায়দুর ……. গত ৩০/১২/২০১৭ ইং তারিখে ঢাকা মিরপুর পল্লবী ১৬ আসনে ৩ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ঃ জনাব আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা -জাতীয় সংসদ সদস্য ঢাকা -১৬ । বিষেশ অতিথিঃ আলহাজ্ব ওসমান গনি -প্যানেল মেয়র- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন । প্রধান বক্তা ঃ কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক- কাউন্সিলর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও আহবায়ক মাঠ পূনরুদ্ধার কমিটি। এবং আব্দুল হালিম মোল্লা- সাধারন সম্পাদক, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, সভাপতিত্ব করেছেন ঃ জনাব আলহাজ্ব হালিম মজুমদার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ঢাকা -১৬ আসনের অভিভাবক ২/২বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, মিরপুর ও রুপনগরের অহংকার গণমানুষের নেতা, যিনি মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছেন গরিব দুঃখি মানুষের বন্ধু মিরপুর ঢাকা -১৬ আসনের রাস্তাঘাট , মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নয়ন করে দিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে চিপা,চাপি অলি গলিতে স্ধাারন নিরহ ব্যবসায়ী লোকজন হাটা চলা করিতে পারিতো না তাদেরকে নিরাপত্তায় সঠিক ভাবে চলাফেরা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এক কথায় বলা চলে ঢাকা ১৬ আসনকে ডিজিটাল হিসেবে পরিনত করেছেন। সেই নেতা ঐতিয্য মোল্লা পরিবারের কৃতি সন্তান জনাব আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপি। নেতা আলোচনা সভার বক্তিতায় বলেন উর্দভাষা কে বাংলা ভাষা করতে গিয়ে সেই হানাদার বাহীনিদের সাথে যুদ্ধকরে কত লোক শহিদ হয়েছেন। ২০ লক্ষ মা বোনদের ইজ্জত দিতে হয়েছে, সেই রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিক আরো কত অজানা মায়ের সন্তানেরা জীবন দিয়েছেন। যখন এই বাংলাদেশে যুদ্ধ হয়েছিল তখন মুক্তিযোদ্ধারা গনের সুরে তালে তালে বল্লব, সুরকি, অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছিল, সেই জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ-মজিবুর রহমানের দেশাত্ববোদক গান “মোরা একটি ফুলকে বাচাবো বলে যুদ্ধ করি” এই সব গানের তালে তালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে শত্র“দের পরাজিত করে আমার মায়ের ভাষা বাংলা ভাষাকে ছিনিয়ে এনেছেন। ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দীউদ্দানে সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষন দিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, দীর্ঘ ১৮ মিনিট ভাষন সেই সোহরাওয়ার্দীউদ্দানে জাতীর পিতা ভাষন দিলেন এমন সুন্দর ভাষন, মধুর ভাষন, হৃদয় পাগল করানোর ভাষন বিশ্বের আর কোন নেতা নেত্রী দিতে পারেননি। ভাইয়েরা আমার দীর্ঘ ৪৬ বছর পরে ডিসেম্বর মাস এই বিজয়ের মাসে এই ভাষন বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠ ভাষন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন এবং কাব্য কবিতা হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। ভাইয়েরা আমার ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স-পরিবারকে ঐ রাতের অন্ধকারে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর পর পরেই ঐ-জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনার গান বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ করে দিলেন। ভাইয়েরা আমার এবার আপনারাই বলেন ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দীউদ্দানে বঙ্গবন্ধুর যে ভাষন দিয়েছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। তাই আমি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা চ্যালেন্স করে বলতে পারি আমি লন্ডনে বলে এসেছি, এখানে ও বললাম এবং আগামী ০৭/০১/২০১৮ ইং তারিখে সংসদ অধিবেশন খুলবে সেখানেও বলব যে, ২৬শে মার্চের পরিবর্তে ৭ই মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে। কেন হবে? কিভাবে হবে ? আমি সেটা ব্যাখ্যা করে দিব। অতএব আমি বলতে চাই স্বাধীনতার ঘোষক সেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাইয়েরা আমার আমরা এই বিজয়ের মাসে আর একটা জিনিস উপহার পেলাম বিশ্বের ১৭৬ টি রাষ্ট্র প্রধান দেশে যারা কর্ম সততা ও সৎ তার মধ্যে মাত্র ৫জন লোককে রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন এর মধ্যে জননেত্রী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩ নম্বর হয়েছেন। ভাইয়েরা আমার এর থেকে আমরা আর বেশি কি আশা করতে পারি? এদিকে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একবার নয়, দুইবার নয়, তিনবার নয় দূর্নীতিতে স্বীকার হয়েছেন। ভাইয়েরা আমার এবার আপনারাই বলেন যোগ্য সৎ কর্মঠ্য কে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল হিসেবে পরিনত করেছেন। প্রধান অথিতি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি জানি আপনাদের ৩ নং ওয়ার্ডে খোলামেলা মুক্ত পরিবেশে খেলাধুলার একটা মাঠ নেই অতএব এই ৩২টি পারিবারকে ৩২টি প্লটের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে এবং হাইকোর্টের রায় পেলে আমি আপনাদের কে এই মাঠটি ৩ নং ওয়ার্ডেও জন্য বরাদ্দ করে দিব। এদিকে প্রধান বক্তা কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক এমপি মহোদয় কে বলেন আমার ৩ নং ওয়ার্ডে খোলামেলা পরিবাশে আামার বৃদ্ধ বাবা, চাচা, মা, ভাই,বোন, ছেলেমেয়েরা সকাল সন্ধায় শরীর চর্চা করিতে পারিবে এবং আমার বাচ্চা আপনাদের বাচ্চারাও সকাল বিকেল খেলাধুলা করিতে পারিবে। এতে করে তাদের শারিরীক মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ্য থাকিতে পারিবেন। পরিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্ভর্ধনা পুরুস্কার দিয়ে বরন করে নিলেন এবং জাতীয় সংগীত দেশাত্ববোধক গান, ভাষার গান, বিজয়ের গান গেয়ে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন। উক্ত জনসভায় উপস্থিত নেতা কর্মীদের নামঃ মোছাঃ আশরাফুন নেছা পারুল- সহ-সভাপতি যুব-মহিলালীগ ঢাকা মহানগর উত্তর, সাবিন্ াইয়াসমিন-যুগ্ন সাধারন সম্পাদিকা ঢাকা মহানগর উত্তর, মোসাঃ শামীমা আক্তার (সেলিনা) জয়েন্ট সেত্রে“টারী যুব-মহিলালীগ পল্লবী থানা, জানাব হাজী মোঃ চানমিয়া-আওয়ামীলীগ নেতা, মোঃ আমানউল্লাহ আমান আওয়ামীলীগ নেতা ৩নং ওয়ার্ড, মোঃ মুজিবুর রহমান, মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন (লালবাবু) ৩নং ওয়ার্ড, সার্জেন সুকুর, কাজী আবুল হোসেন (মুক্তিযোদ্ধা), মোঃ আবব্দুল মান্নান সরদার (মুক্তিযোদ্ধা) (মোঃ সেলিম, কাদির মাহাম্মদ, মোঃ আনোয়ার, জনাব তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, বাপ্পী সভাপতি, যুবলীগ পল্লবী থানা। মোঃ আবুল হাসেম- যুবলীগ নেতা, মোঃ সেলিম মৃধা- ক্রীড়া-সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর। মোঃ লাড্ডাম, মোঃ স্বপন-, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর, মোঃ আনোয়ার-ছাত্রীলগ নেতা, আব্দুল জব্বার, মোঃ আমিনুল ইসলাম-উপ প্রচার সম্পাদক ঢাকা মহানহগর উত্তর, মাসকুড়ে সাত্তার পল্লল, মোঃ ইব্রাহীম হোসেন, জহির মোঃ হারুন, জহির আহম্মেদ -সহ সভাপতি ছাত্রলীগ ঢাকা মাহানগর উত্তর মোঃ জাকির হোসেন বাবু সাবেক-প্রচার সম্পাদক ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর, জয়নাল আবেদিন। যুবলীগ, যুব-মহিলালীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, তাতীলীগ, বাস্তুহারালীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্মলীগ এবং আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের সকল নেতা নেত্রী বৃন্ধ। পরিশেষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গলী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ব-পরিবারের শহীদদের আত্মর মাগফেরাত কামনা এবং গনতন্ত্র বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার র্দীর্ঘ আয়ু কামনা ও দোয়া করা হয়, পরে সভার সভাপতি জনাব আলহাজ্ব হালিম মজুমদার সভাটি সমাপ্ত ঘোষনা করেন।