৩০০ করতে পারবেন নাসির?

কাল ১০১ রানে অপরাজিত থেকে বরিশালের বোলারদের নাসির হোসেন বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন, ‘কালও জ্বালাব!’ কিন্তু সেই জ্বালাটা কতটা যন্ত্রণার, সেটি আজ হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বরিশালের বোলাররা। ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির হাতছানি নাসিরের সামনে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ালটন জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের তৃতীয় দিনে নাসিরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রংপুরের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৫৭০। নাসিরকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আরিফুল হক।
দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটি যোগ করেছে ৩৬৮ রান, যেটি জাতীয় লিগের তৃতীয় সর্বোচ্চ। বিপিএলের ছন্দটা জাতীয় লিগেও টেনে আনা আরিফুল আউট হয়েছেন ১৬২ রানে। তবে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া নাসির এখনো উইকেটে। ২৯ চার ও ৩ ছক্কায় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপরাজিত ২৭০ রানে। গত ডিসেম্বরে সর্বশেষ জাতীয় লিগে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন নাসির।
এক বছরের মধ্যে প্রথম ট্রিপল ছোঁয়ার সুযোগ তাঁর সামনে। বিপিএল খুব একটা খারাপ যায়নি এনামুল হকেরও। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে যে ৯টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন, রান করেছেন বেশির ভাগ ম্যাচেই। বিপিএলের আগে জাতীয় লিগেও রান পেয়েছিলেন। প্রথম রাউন্ডে ডাবল সেঞ্চুরি করা এনামুল আজও পেয়ে গেছেন এই মৌসুমে আরেকটি ‘ডাবল’। বিকেএসপিতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনে ১৬৭ রানে অপরাজিত থাকা এনামুল আজ সকালে ফিরেছেন ২০২ রান করে।
এনামুল পারলেও ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি দ্বিতীয় দিনে ১৬৮ রানে অপরাজিত থাকা মেহেদী হাসান। প্রথম রাউন্ডে ১৭৭ রানে আউট হওয়া মেহেদী আজও ফিরেছেন ১৭৭ রানেই! খুলনা ইনিংস ঘোষণা করেছে ৮ উইকেটে ৪৫৯ রান তুলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকা বিভাগ ৪ উইকেটে করেছে ১৬৯ রান, এখনো পিছিয়ে ১৭৭ রানে। ছুটির দিনে আজ যেন সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির মেলা বসেছে জাতীয় লিগে! রাজশাহীতে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে আগের দিনের রাজশাহীর দুই অপরাজিত ওপেনার নাজমুল হোসেন- মিজানুর রহমান আজ সেঞ্চুরি তো পেয়েছেনই।
এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকেও। মিজানুরের সান্ত¡না, আউট হয়েছেন ১৭৫ রানে—নাজমুলের আফসোসটা আরও বড়। ফিরেছেন ১৯৪ রান করে। আলোক-স্বল্পতায় ম্যাচ থেমে যাওয়ার আগে রাজশাহীর রান ৫ উইকেটে ৪৬০। নাসির, আরিফুল, নাজমুল, মিজানরা যে ব্যাটিংটা করলেন—রানপ্রসবা এক দিনই কেটেছে জাতীয় লিগে।