অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করলো অস্ট্রেলিয়া

বৃষ্টিবিঘ্নিত পার্থ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪১ রানে হারের লজ্জায় ডুবিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্য দিয়ে অ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধার করলো স্টিভেন স্মিথের দল। ইংলিশদের মাটিতে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত দু’দলের সবশেষ টেস্ট সিরিজটি ৩-২ ব্যবধানে হেরে ফিরেছিল অজিরা।
প্রথম ইনিংসে অজিদের রান পাহাড়ই পার্থক্য গড়ে দেয়। স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজলউডদের বোলিং তোপে চাপা পড়ে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। চার উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২১৮ রানে। সঙ্গী হয় ইনিংস পরাজয়। সর্বোচ্চ ৫৫ রান আসে জেমস ভিঞ্চির ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ম্যালান ৫৪ ও জনি বেয়ারস্টো ১৪ রানে সাজঘরে ফেরেন।
একাই পাঁচ উইকেট দখল করেন জস হ্যাজলউড (দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি)। দু’টি করে নেন প্যাট কামিন্স ও স্পিনার নাথান লায়ন। অন্যটি প্রথম ইনিংসের চার উইকেটশিকারী মিচেল স্টার্কের।
প্রথম ইনিংসে স্মিথ-মিচেল মার্শের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২৫৯ রানের লিড নেয় অজিরা। দু’জনের পঞ্চম উইকেট পার্টনারশিপে আসে ৩০১। ইংল্যান্ডের ৪০৩ রানের (শেষ ৩৫ রানে ৬ উইকেটের পতন ঘটে) জবাবে ৯ উইকেটে ৬৬২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।
ক্যারিয়ার সেরা ২৩৯ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন স্মিথ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি ডাবলে রূপ দেওয়া হয়নি মিচেল মার্শের। ১৮১ রানে আউট হন তিনি।
পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ৩-০ তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনে ১০ উইকেটে হারের লজ্জার পর অ্যাডিলেডে দিবারাত্রির টেস্টে ১২০ রানে পরাজয় বরণ করেন রুট-কুক-ব্রড-অ্যান্ডারসনরা।
ক্রিসমাসের পরদিন বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চতুর্থ টেস্ট শুরু বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায়।