প্রধান মেনু

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার পরিবারের জন্য তুরস্কের ৩ শ’ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) : বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার পরিবারের জন্য তুরস্ক বাংলাদেশে ৩শ’ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। তুরস্কের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা টিকা’র মাধ্যমে এ ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়। পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে ১০ হাজার প্যাকেটের মাধ্যমে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আজ চাঁদপুরের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে এ তথ্য জানান। মতলব উত্তর উপজেলার আলী আহমেদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে টিকা’র সমন্বয়কারী আহমেদ রেফিক চিটিংকায়া, উপসমন্বয়কারী Şবৎরভব ্রুঃহৃৎশ, আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখার হোসেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি ওসমান পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাসির উদ্দিন ভূইঁয়া, জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল এবং পুলিশ সুপার শামসুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী জানান, ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে লালমনিরহাটে ৯০ টন, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্দা ও মানিকগঞ্জে ৩০ টন করে এবং চাঁদপুরে ৬০ টন ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়। ৩০ কেজির প্রতি প্যাকেটে ২০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি এবং ১ কেজি লবণ রয়েছে। মায়া চৌধুরী বলেন, এবছর দীর্ঘমেয়াদি ও বিস্তৃত এলাকায় বন্যা হয়েছে।কিন্তু একটি মানুষও বন্যার কারণে খাদ্য ও আশ্রয়হীন ছিলনা। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতৃবৃন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণে সরকার সফলতার সাথে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এখনো ত্রাণ তৎপরতা ও পুনর্বাসন কাজ অব্যাহত রয়েছে। বন্যার টেকসই মোকাবিলার জন্য সরকার বন্যাপ্রবণ এলাকায় নতুন নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের ঘরবাড়ি উঁচু করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি যেন দ্রুত নেমে যেতে পারে সেলক্ষ্যে সরকার গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলো ড্রেজিং করার উদ্যোগ নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সার্বিক সহায়তায় এগিয়ে আসায় মন্ত্রী তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান।