স্পিকারের সাথে সুইডিস রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

স্পিকার বলেন, সুইডেনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সুইডেন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সুইডেনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি আয়োজিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজন করায় রাষ্ট্রদূত স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান এবং ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি) এর সফলতা কামনা করেন। তিনি এসময় নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করেন।ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনে সুইডেনপার্লামেন্টের স্পিকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অংশ নেয়ায় স্পিকাররাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।স্পিকার বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন,তরুণ নেতৃত্ব, সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- এসকল কিছু নিয়ে সিপিএ কাজ করছে। আজ হতে শুরু হতে যাওয়া ৬৩তম সিপিসি এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকে নতুন বার্তা পৌঁছে দেবে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন। স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও সুইডেনের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফর ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের পার্লামেন্ট উপকৃত হতে পারে। সংসদীয় চর্চা ও গণতন্ত্র বিকাশে দু’দেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিদ্যমান বন্ধুত্বকে আরো জোরদার করবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েমানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায়সুইডেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। স্পিকার সুইডেনের রাষ্ঠ্রদূতের বাংলাদেশে অবস্থানকালে দু’দেশের
সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্তসুইডেনের রাষ্ট্রদূত ঈযধৎষড়ঃঃধ ঝপযষুঃবৎ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টবিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।