সাভার থেকে প্রতারক চক্রকে আটক করে ছেড়ে দিলেন সাভার মডেল থানার এস আই সুমন

সাভার: বর্তমানে ছিনতাই একটি জাতীয় আতঙ্কের নাম। বিভিন্ন প্রতারকচক্র ভিন্ন ভিন্ন কায়দায় তাদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। তন্মধ্যে বিভিন্ন নারী চক্র বেশী সক্রিয়।এমনই একটি চক্রকে আটক করেছিলেন সাভার মডেল থানা পুলিশের এস আই সুমন। সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত বারটায় সাভারের রাবেয়া ক্লিনিকের পাশের একটি বাড়ি হতে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেন তিনি।
আটককৃতরা হলেন ঢাকা কমলাপুরের মোসা. রেনু(২৪), বরিশাল মেহেদীগন্জের মিস বিথী (২১) এবং মাদারীপুর শিবচরের মো: দেলোয়ার হোসেন ইমন(২৮)। এরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় কৌশলে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে এসব অপকর্ম করতেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার (৩জুন’১৭)সাভারের জোড়পুল এলাকার লালন সি এন জি পাম্প হতে সুমন(২৮) নামের এক যুবককে সু-কৌশলে অপহরন করে সাভার রাবেয়া ক্লিনিকের পাশের একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখে।রাতবাড়ার সাথে সাথে সুমনের উপরে বিভিন্ন অত্যাচারও বাড়তে থাকে। নানা রকম ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১০,০০০ টাকা, গলার চেইন, একটি স্মার্টফোন, একটি সাধারণে মোবাইলসহ মোট ৬০,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। রাত প্রায় ১১.৩০ এ সুমনকে ছেড়ে দিলে সে সাভার মডেল থানার এস আই সুমনের শরনাপন্ন হয় এবং বিষয়টি পুরোপুরি খুলে বলেন।এসআই সুমন তার টিম নিয়ে প্রায় রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে।সাভারের বিভিন্ন জায়গা হতে রেনু,বিথী ও ইমনকে আটক করেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, রেনু তার কথিত স্বামী দুলাল ও কথিত দেবর সুমন ও সুমনের স্ত্রী শ্যামলীকে নিয়ে রাবেয়া ক্লিনিকের পাশে আরেকটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত।আর যে ফ্ল্যাটে সুমনকে রাখা হয়েছিল সেটি তাদের কু-কর্মের জন্য। তাদেরকে আটক করার সময় ২টি খেলনা পিস্তল, ২টি ধারাল ছুরি, ২টি এস এস পাইপের লাঠি, ১টি বাঁশি চাকু ও ২০/২৫টি ভাঙ্গা মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এতো কিছুর পর কোন এক অদৃশ্য কারনে ভোর হতে না হতেই তাদেরকে ছেঢ়ে দেয় এস আই সুমন।জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ না থাকার কারনে তাদেরকে ছেঢ়ে দিতে হয়েছে। আর তাছাড়া থানায় কি মামলার অভাব এসব মামলা নেওয়ার সময় আছে?’
যদি এদের কারনে অপহৃত সুমনের জীবন দিতে হতো তখন কি করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘তখন মামলা হতো, বিষয়টি আমরা দেখতাম’যেখানে প্রতারক চক্রের কাছে কোণঠাসা হয়ে থাকতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে সেখানে প্রতারকচক্রকে হাতে পেয়েও তাদের ছেড়ে দেওয়া এটা কিসের ইঙ্গিত? –এ প্রশ্ন এখন শুধু সুমনের নয়,পুরো জাতির।