প্রধান মেনু

দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে—-তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে): দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বিএফডিএ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি (বিএফডিএ) ২০২২-২০২৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র এবং দেশীয় ওটিটি মাধ্যমে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন শাখায় অবদান ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চলচ্চিত্র অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মাধ্যম। এই মাধ্যমকে বাংলাদেশে আরো শক্তিমত্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির জন্য অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এবং তাদের মতামত নিয়ে সরকার সবকিছু করবে। চলচ্চিত্র দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে তুলে ধরা সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এফডিসি’র (চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন) গোড়াপত্তন হয় এবং এফডিসি’র মাধ্যমে আমাদের শিল্পী-পরিচালকবৃন্দ যারা চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা তার প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের চলচ্চিত্রের বিশাল ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আমাদের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছিল। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সমাজে অনেক পরিবর্তন হয়েছে যে পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক। এ পরিবর্তনগুলো আমাদের সামনে অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনগুলো আপাত দৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে কীভাবে সুযোগ হিসেবে আমরা পরিবর্তন করতে পারি, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সিনেমা হলগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান না হলে চলচ্চিত্র সমস্যার সম্মুখীন হবে। সিনেমা হল যদি সচল থাকে এবং মানুষকে যদি হলে আনা যায় তাহলে চলচ্চিত্রের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। গোটা বাংলাদেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সিনেপ্লেক্স এবং মাল্টিপারপাস সিনেমা হল তৈরি এবং সেগুলো কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তিনি আরো যোগ করেন, দেশে নির্মিত ভালোমানের চলচ্চিত্র দেশের হলগুলোতে হলিউড বা অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্রকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলছে। সে যোগ্যতা এদেশের চলচ্চিত্রের রয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বপ্নধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ উর রশিদ এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ-এর চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।