প্রধান মেনু

নারী অধিকার সম্মানের জায়গায় পৌঁছেছে—-প্রধান তথ্য কমিশনার

ঢাকা, ২৬ বৈশাখ (৯ মে): প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ আজকে ডিজিটাল হতে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। জনগণ প্রয়োজনীয় তথ্য ডিজিটাল সেন্টার থেকে, প্রতিটি গ্রাম থেকে পাচ্ছে। তিনি বলেন, এদেশে নারীর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, নারীর অধিকার সম্মানের জায়গায় পৌঁছেছে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধকরণ করতে চাই। নারীরা তথ্য প্রাপ্তির জন্য এগিয়ে আসবেন, তথ্য চাইবেন এবং সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো তথ্য দিবেন। নারীর অগ্রগতি বাংলাদেশের অগ্রগতি। নারীরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য বেশি বেশি করে চাইতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে পেতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।

‘তথ্য অধিকার প্রশিক্ষণে জেন্ডার অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি।

প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, তথ্য অধিকার জনগণের অধিকার। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশে একমাত্র এই আইনটি জনঅবহিতকরণ সভার মাধ্যমে জনগণকে জাননো হয়। তথ্য কমিশন সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার জনের বেশি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সকল শ্রেণি- পেশার জনগণের উপস্থিতিতে জন অবহিতকরণ সভা করেছে।

তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, রাষ্ট্রের কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে তা জানার অধিকার নাগরিকের আছে। সরকার সেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, তথ্যে প্রবেশাধিকারে নারীদের আরো সচেতন করতে হবে। তথ্য অধিকার আইনটিকে কীভাবে আরো বেশি জনবান্ধব করা যায়, নাগরিক যেন দ্রুত সময়ে তথ্য পেতে পারে সে বিষয়ে সকলের মতামত আহ্বান করেন তথ্য কমিশনার।

তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি বলেন, তথ্য কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছে। কমিশন প্রতি সপ্তাহে দুই দিনে বারো থেকে চৌদ্দটি অভিযোগের শুনানি করছে। কোথায় কোনো অনিয়ম দেখা দিলে কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। তিনি আরো বলেন, তথ্য কী, কী কী তথ্য চাওয়া যায়, তথ্য কেন প্রয়োজন তা অবেদনকারীকে জানতে হবে। তথ্য অধিকার প্রশিক্ষণ মডিউলে জেন্ডার অন্তর্ভুক্তি করা অবশ্যই প্রয়োজন। ডিমান্ড সাইডে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে আইনটি সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন করতে হবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমজেএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তথ্য অধিকার প্রশিক্ষণ মডিউলে জেন্ডার অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক গবেষণার সুপারিশ উপস্থাপন করেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল করিম এনডিসি। এছাড়া দ্য কার্টার সেন্টারের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সুমনা সুলতানা মাহমুদ এবং ইউএসএআইডি’র প্রোগ্রাম ম্যনেজমেন্ট স্পেশালিস্ট রুমানা আমিন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন এমজেএফ এর সিনিয়র প্রকল্প সমন্বয়কারী জিয়াউল করিম। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের ২৭ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।