ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেছেন, “আমরা যদি কৃষি এবং শিক্ষাকে গুরুত্ব না দেই তাহলে আমাদের যে বেড়ে উঠা আমাদের যে জাতি হিসেবে সবল জাতি তৈরী হওয়া এটা কোন দিনই সম্ভব হবে না। কৃষিকে অবহেলা করে আমরা কোন কিছুই করতে পারবো না। তাই কৃষির এই অপ্রচলিত খাত গুলো, যেই খাত গুলো আমরা সচরাচর ব্যবহার করি না এই খাতগুলোতে যদি আমরা একটু নজর দেই তাহলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও দেশকে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে”। তিনি মঙ্গলবার জেলা কৃষি গবেষণা উপ-কেন্দ্র আয়োজিত “মৌসুমী ফলের বহুবিধ এবং বিকল্প ব্যবহার” বিষয়ে চারদিন ব্যাপী (দুই দলে) এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা উপ-কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. একেএম খোরশেদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে.এম মাউদুদুল ইসলাম ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রধান প্রশিক্ষক ড. মো. মিয়ার উদ্দীন। সার্ক ডেভেলপমেন্ট (এসডিএফ) এর অর্থায়নে পরিচালিত এবং বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইন্সটিটিউট (রাবি), গাজিপুরের “পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজী বিভাগের কারিগরি সহায়তায় এ কোর্সে ২৫ জন প্রশিক্ষক ও ৩০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশ নিয়েছেন। এ প্রশিক্ষণে ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণের পদ্ধতি, ফল থেকে আচার-চাটনী, চিনির সিরায় ফল সংরক্ষণ, জ্যাম, জেলী ইত্যাদি তৈরীর পদ্ধতি হাতে কলমে ধারণা দেওয়া হবে।

(কাজল রায়, ঠাকুরগাঁও)