পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো একটি অসাধু সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে।রমজানে কিছু নির্ধারিত খাদ্য পন্যের উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় পূর্ব থেকেই অধিক লাভের আশায় খাদ্যপন্যগুলো মজুদ করতে থাকে।বিশেষ করে চিনি,ছোলা(বুট),চাউল,মসলা,কিসমিস,সহ রমজানে প্রভাব পড়বে এমন পন্য।এই সকল খাদ্যপন্য মজুদ রেখে রমজানে তারা ওৎপেতে বসে থাকে সুযোগের অপেক্ষায় কখন সুযোগ হাতের নাগালে আসবে।সরকার এই সিন্ডিকেটের আগাম টের পেয়ে পূর্বেই কিছু খাদ্যপন্যের মূল্যে নির্ধারণ করে দেয় কিন্তু তাতেও খুব একটা সফলতা আসেনা কারণ তাদের রয়েছে শক্ত সিন্ডিকেট।এই সিন্ডিকেটের অনেকেই সরকারী দলের আমলা।রমজানে খাদ্যদ্রব্যের বাজার মনিটরিং করার জন্য সরকার অনেক রকম ব্যাবস্থা রাখে সরকারীভাবে চাউল,চিনি,আটা,বিতরনের ব্যাবস্থা রাখলেও সেখানেও হয় ঘাপলাবাজি।বরাদ্দের ত্রিশ ভাগও সরকারী নিয়মে দেওয়া হয়না।ফুড অফিসের বড় বাবুদের খুশি করে বাকী খাদ্যপন্যেগুলো চলে যায় ঐ সকল কালো সিন্ডিকেটের গুদামে ফলে তাদের নিয়ন্ত্রনেই চলে যায় মূল্যে তালিকা।রমজানে ভ্রাম্যমান সহ অনেক তদারকির ব্যাবস্থা থাকে তবুও তেমন কোনও সুফল আসেনা সরকারও নিরুপায় হয়ে পড়ে ঐ সিন্ডিকেটের নিকট।তাই পূর্বে থেকেই এই সকল কালোবাজারি সিন্ডকেট সদস্যদের উপর নজর রাখা জরুরী যেন তারা কোন ভাবেই হাসিল করতে না পারে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য।

(মোঃশামসুল ইসলাম, রাজশাহী)