বিজিবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত

ঢাকা, ১২ চৈত্র (২৬ মার্চ): বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদ্যাপন করেছে।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারা দেশে বিজিবি’র সকল ইউনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী অংশগ্রহণ করেন। এরপর বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানাস্থ ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিজিবি’র একটি সুসজ্জিত চৌকস দল ‘গার্ড অভ্ অনার’ প্রদান করে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সারা দেশে বিজিবি’র বিভিন্ন স্থাপনায় ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে জোহরের নামাজের পর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারা দেশে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের আত্মার শান্তি এবং বিজিবি’র উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ১৮ হাজার ৭০ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিশুদের জন্য বিজিবি জাদুঘর উম্মুক্ত রাখা হয় এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজিবি বাদকদল কর্তৃক বাদ্য পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেনাপোল-পেট্রাপোল, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ও আখাউড়া-আগরতলা আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতিম ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৫ মার্চ ২০২৪ তারিখ গণহত্যা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতম গণহত্যাকাণ্ডে নিহত শহিদদের স্মরণ ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে জোহরের নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, সেক্টর এবং ইউনিটে রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হয়।