প্রধান মেনু

জেলেদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর

চাঁদপুর, ২৭ ফাল্গুন (১১ মার্চ): সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জেলেদেরকে মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় যে সহায়তা দেয়া হয় সেটি আরো বাড়াতে হবে। এটি ১০ কেজি থেকে বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ৪০ কেজি করেছেন। আর যারা নিবন্ধিত জেলে আছেন, তাদের তুলনায় খাদ্য সহায়তা ১০ ভাগ কম আসে, এটি সবার জন্যই আসতে হবে।

আজ চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ১১ থেকে ১৭ মার্চ ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ দাবি জানান।

মন্ত্রী বলেন, জেলেদেরকে যে ধরনের উপকরণ দেয়া হয়, আমি মনে করি এখন সময় এসেছে সেগুলোর উপযোগিতা বিচার বিশ্লেষণ করার। অর্থাৎ তাদেরকে সেলাই মেশিন, বকনা বাছুর দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সেগুলোর সাথে আর্থিক সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।

দীপু মনি বলেন, সরকার যখন আপনার প্রয়োজনের দিকটা দেখবে, তেমনি আপনার ভবিষ্যতের স্বার্থে আইন ও নিয়ম মানতে হবে। সরকার যেসব নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সেগুলো মাথায় রাখতে হবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বেআইনী জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্যজীবী ভাইদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এই বেআইনি জাল যারা উৎপাদন করেন তাদেরকেও ধরতে হবে। আমাদের কিন্তু আসল গোড়ার জায়গাটা ধরতে হবে। বেআইনি জাল যদি উৎপাদনই না হয়, তাহলে এই জাল ব্যবহারও হবে না। উৎপাদন বন্ধ হলে ব্যবহার এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। অতএব যার যেখানে সুযোগ রয়েছে সেখান থেকে এই জাল উৎপাদন বন্ধে কাজ করতে হবে।

ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বলেছিলেন মৎস্য আমাদের একটি বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। আজকে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাই হয়েছে। মৎস্য এখন বড় রপ্তানি পণ্য। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরো বড় সুযোগ রয়েছে। আমিষ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি শুধু তাই নয়, আমরা এখন এটি রপ্তানি করতে পারি। আমাদের খাদ্যের অভাব যেমন মিটছে, তেমনি এই মন্ত্রণালয়ের মধ্য দিয়ে পুরো জাতির পুষ্টির চাহিদাও মিটছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান । সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর।