প্রধান মেনু

স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন—-প্রতিমন্ত্রী পলক

ঢাকা, ১৪ ফাল্গুন (২৭ ফেব্রুয়ারি):  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। তিনি বলেন স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদেরকে শুধু উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাই আমাদের লক্ষ্য নয়, এর সাথে তাদেরকে সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, সমস্যা সমাধানকারী মানসিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়াও আমাদের লক্ষ্য।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরায় আগা খান একাডেমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের জন্য দেশে বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্র ছেলেমেয়েদেরকে অত্যাধুনিক ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগা খান একাডেমি এবং আইসিটি বিভাগ একসাথে কাজ করবে এবং দু’পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত ‘নলেজ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) লিটারেসি ক্যাম্পেইন অ্যাওয়্যারনেস প্রোগ্রাম আগা খান একাডেমিতে চালু করা হবে।

 তিনি বলেন, শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অভ্ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে, এটুআইয়ের মুক্তপাঠ, এডুহাবসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে  এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিগত ১৫ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের ট্রানজিশন অনেক চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব এবং এই তিনটির ওপর নির্ভর করেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

পলক বলেন, সরকারি-বেসরকারি সেবাকে আরো সহজ করার লক্ষ্যে দেশে এআই পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এআই এর নেতিবাচক ব্যবহার কমানোর জন্য এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা একটি এআই আইন করতে চাই। যেটা এখনো ড্রাফটিং পর্যায়ে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি সকল সেবা পেপারলেস-স্মার্ট, সকল লেনদেন ক্যাশলেস এবং সবগুলোকে ইন্টার-অপারেবল, ইন্টার-কানেক্টেড ও অটোমেটেড করা হবে।

আগা খান একাডেমি আমাদের সামনে রোল মডেল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন সম্ভব। এআই অ্যাওয়্যারনেস প্রোগ্রাম, ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড এবং এডুকেশন ও নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য আগা খান একাডেমি এবং আইসিটি বিভাগ একসাথে কাজ করবে।

এসময় আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক এর বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক প্রতিনিধি মুনির মি. মেরালি উপস্থিত ছিলেন।