বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর

ইস্তাম্বুল (তুরস্ক), (২৭ ফেব্রুয়ারি) : ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় এবং গবেষণাধর্মী প্রকাশনা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং কৃষি গবেষণায় অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু এতে স্বাক্ষর করেন। এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুসংহত ও গতিশীল হবে।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের সঞ্চালনায় সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর অধ্যাপক ড. সুলে ইতির সাতোগলু এবং রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল সাক্ষর মুহূর্তকে একটি স্মরণীয় সময় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একসাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। ভাইস রেক্টর অধ্যাপক ড. সুলে ইতির সাতোগলু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রজেক্ট, প্রকাশনা ও গবেষণালব্ধ ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি দারুণভাবে উপকৃত হতে পারে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি এ সহযোগিতামূলক প্রটোকল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রথমবারের মত একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ সৃষ্টি করলো বলে উল্লেখ করেন।
ইস্তাম্বুল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. ইসমাইল কোয়ুনজু বলেন, ১৭৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গত বছর তাদের ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে। তিনি দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে ছাত্র-শিক্ষক বিনিময়সহ যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট ও গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করেন।