প্রধান মেনু

ইউনেস্কোর প্রতিনিধির সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি): ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তাঁর দপ্তরে ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এআই লিটারেসি, সাইবার সুরক্ষা ও প্রয়োজনীয় আইন এবং নীতিমালা নিয়ে আইসিটি বিভাগ ও ইউনেস্কো কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, ডিজিটাল লিটারেসি-এর মাধ্যমে সহনশীল এবং প্রগতিশীল প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর সাথে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’ এর আওতায় এটুআই প্রকল্প ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আগামী দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং ব্যবসায়ীদের আরো বেশি সচেতন করে গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক এবং প্রশাসনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদেরকেও এআই সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এআই নীতিমালা প্রণয়ন ও আইন করা হবে। এ নিয়ে ইউনেস্কো বাংলাদেশকে সহযোগিতার পথরেখা তৈরি করছে। তিনি বলেন, ইউনেস্কোর সঙ্গে ১৮-২৫ বছরের শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে ‘এটুআই হিউম্যান ডেভলপমেন্ট মিডিয়া উইং’। এছাড়াও সারা দেশে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসমূহে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এআই বিষয়ে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতন করা হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো একসাথে কাজ করবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় যে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে স্মার্ট দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সরকারের সেবাগুলো পেপারলেস এবং তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ইউনেস্কো বাংলাদেশ এর প্রধান ড. সুজান ভাইজ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতার বেশ কয়েকটি ভালো জায়গা খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম এআই। এ সময় স্মার্ট সিটি, স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট লিডার গড়তে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান ইউনেস্কো বাংলাদেশ প্রধান।