১৫ বছরে সামাজিক বন বিভাগের আওতায় রংপুর অঞ্চলে ১৩ লাখ বৃক্ষরোপণ, সরকারের রাজস্ব আয় ৭ কোটি টাকা

রংপুর, ১৪ মাঘ (২৮ জানুয়ারি): বনজ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি ও সংরক্ষিত বনের ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকার সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৩) রংপুর সামাজিক বন বিভাগের আওতায় ৫ জেলায় (রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা) ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫৫টি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় বৃহত্তর রংপুর জেলায় টেকসই সামাজিক বনায়ন উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্ট্রিপ বাগান ও ১৭৫ হেক্টর ব্লক বাগানে মোট ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০টি চারা রোপণ করা হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের খালের পাড়, বাঁধ ও সংযোগ সড়ক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ১৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৃজিত বাগানে ১ লাখ ৫৭ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে।
সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৃজিত বাগানে রোপণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার চারা। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৯ হেক্টর সৃজিত বাগানে রোপিত চারার পরিমাণ ২২ হাজার ৫০০টি। ইকো-রেস্টোরেশন অভ্ দ্য নর্দান রিজিয়ন অভ্ বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬১ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৃজিত বাগানে ৬১ হাজার ৮৫৫টি চারা রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৬টি চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রংপুর সামাজিক বন বিভাগের সৃজিত বাগানের লভ্যাংশ থেকে ৭ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৬ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত সময়ে বনায়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশ থেকে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৮ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূমি মালিক সংস্থা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে লভ্যাংশ থেকে যথাক্রমে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৫৬৩ টাকা ও ৮৮ লাখ ৬ হাজার ২০২ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সামাজিক বনায়নের ফলে রংপুর অঞ্চলে বনজ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বনায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। পরিবেশ উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার গৃহীত সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।