শুভ নববর্ষ ১৪২৪ উপলক্ষ্যে চৈত্র সংক্রান্তিতে রাজস্ব হালখাতা

ব্যবসায়ী মহলে বছর শেষে হালখাতার আয়োজন আবহমান বাংলার ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে রাজস্ব বান্ধব সংস্কৃতিতে রূপান্তরের জন্য এবং রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে রাজস্ব-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার ধারাবাহিক প্রয়াসের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে কর অঞ্চল-রাজশাহীর উদ্যোগে অদ্য ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ খ্রি. চৈত্র সংক্রান্তিতে কর ভবন, হেলেনাবাদ, রাজশাহীতে রাজস্ব হালখাতা চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর অঞ্চল-রাজাশাহীর কর ভবনকে বর্ণাঢ্য ভাবে সাজানো হয়। আলপনা, পালকি, ঘুড়ি, পাখি, কুলা, চালা, ডালা, বিভিন্ন প্রকার মুখোশ ইত্যাদি বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে কর ভবনকে সুসজ্জিত করা হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করা হয়। র্যালীতে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব ফজলে হোসেন বাদশা ও জনাব আয়েন উদ্দিন অংশগ্রহণ করেন। র্যালী শেষে রাজস্ব হালখাতায় আগত করদাতা এবং অতিথিবৃন্দকে মুড়ি, খৈ, মুড়কি, বাতাসা, ঝুরি, খাগড়ায়, মুড়ির নাডু, চিড়ার নাডু, তিলের নাড়–, হাতি-ঘোড়া মিষ্টি, জিলাপী, সন্দেস, চমচম, রসগোল্লা, প্যাড়া, পাপোর, তিলের খাজা ইত্যাদির মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী জনাব নূর-উর-রহমান, আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. এম সাইদুর রহমান খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, পরিচালক, দুদক, আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহী, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, আয়কর আইনজীবী সমিতি রাজশাহীর সভাপতি, সেক্রেটারীসহ বিশিষ্ট করদাতাগণ উপস্থিত আছেন।
উপস্থিত দুই জন মাননীয় সংসদ সদস্যই তাদের বক্তব্যে কর অঞ্চল-রাজশাহী কর্র্তৃক আয়োজিত রাজস্ব হালখাতার আয়োজনকে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা এ আয়োজনে ব্যক্তিগত সন্তোষ্টিও প্রকাশ করেন এবং টপ পঞ্জম কর কমিশনার নির্বাচিত হওয়ায় কর অঞ্চল-রাজশাহীর কমিশনার, জনাব মোঃ দবির উদ্দিনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
দুপুর ২টা পর্যন্ত সম্মানিত করদাতাগণ মোট ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা বকেয়া কর পরিশোধ করেন। রাজস্ব হালখাতায় সম্মানিত করদাতাগণ নূন্যতম ৩ কোটি টাকা বকেয়া আয়কর পরিশোধ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
(মোঃশামসুল ইসলাম, রাজশাহী)