প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশিপে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনেক এগিয়ে গেছে—-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ মাঘ (২৩ জানুয়ারি): নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের যতগুলো প্রকল্প আছে সেগুলোর কাজ সম্পন্ন করব। নতুন প্রকল্প নেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেব না। যেগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ করতে সচেষ্ট থাকবো। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব রয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশ ডেভেলপিং কান্ট্রি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটা ধরে রাখতে হবে। যেখানে শেখ হাসিনা আছেন; সেখানে আর কিছু বাধা থাকে না। যতই সংকট হোক তাঁর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা এবং আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে বিশেষ উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আজকে অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশিপে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনেক এগিয়ে গেছে। তিনি আমাদের ভিশন দিয়েছেন। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বন্দর ‘পায়রা বন্দর’ নির্মাণ হচ্ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বদ্বীপ পরিকল্পনা দিয়েছেন। নদীর নাব্যতা রক্ষায় কাজ হচ্ছে। মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন মেরিন একাডেমি এবং মেরিটাইম ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব চিন্তাভাবনা অন্য কেউ করেননি। তিনি রাষ্ট্রনায়োকিত চিন্তাভাবনা করেছেন। আগামী প্রজন্মের জন্য চিন্তাভাবনা করেছেন। আমাদের দেশে এ পর্যন্ত আটটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্প সময়ের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে তাদের সরাসরি ছোঁয়া পেয়েছেন বলে মন্ত্রী জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব ড. এম মতিউর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুন নাহারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭টি দপ্তর ও সংস্থা আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা এবং আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।