প্রধান মেনু

৬৪ জেলায় খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে — পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

‘বড় বড় নদ-নদীর পাশাপাশি ৬৪ জেলায় খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেখানে বাধ, সেখানেই ড্রেজিং বাধ্যতামূলক এবং নদ-নদীর উপর স্থাপনা নির্মাণে প্রকৃতি-বান্ধব ডিজাইনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।’ আজ ঢাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সভা কক্ষে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ এর ওপর আয়োজিত এক

সেমিনারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ কথা বলেন। তিনি আরো আরো বলেন, ৬৪ জেলার খাল খননের এই প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৫৫১ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় আরো ৫ হাজার কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। গেস্ট অভ অনারের বক্তব্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’ এই স্লোগান দিয়ে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, নদীমাতৃক সেই বাংলাদেশের নদী-খাল-বিল-হাওরগুলোকে দখলমুক্ত করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় অন্যদের সহযোগিতায় কাজ করে চলেছে। আমরা সেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।

তিনি বলেন, যেখানে বাধ হয়, সেখানে ড্রেজিং বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে অনুশাসন দিয়েছেন। আমরা সে মোতাবেক কাজ করছি।’ তিনি এ সময় নদ-নদী রক্ষায় রুটিন দায়িত্বের বাইরেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান। পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার তার বক্তব্যে জানান, বৃষ্টির পানি প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। বাসযোগ্য বাংলাদেশ নির্মাণে প্রাকৃতিকভাবে পানি সংরক্ষণের বিকল্প নেই।

এছাড়াও নদ-নদীর উপর স্থাপনা নির্মাণের ফলে যাতে কোনো ভাবেই পানির গতিপথ পরিবর্তিত না হয় কিংবা নদ-নদীর ক্ষতি না হয় সরকার সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখছে। তাই, প্রকৃতিবান্ধব ডিজাইনের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। সেমিনারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. উম্মে কুলসুম নভেরা ‘বাংলাদেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থানা ও চ্যালেঞ্জ এবং তা উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাসচিব প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং এনজিও প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।