প্রধান মেনু

৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পক্ষকালব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন —স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন ( ১ অক্টোবর): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের পরবর্তী প্রজন্মের উন্নত স্বাস্থ্য গড়তে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরি।প্রতিবারের ন্যায় এবারো সরকার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী কার্যক্রম চালাবে। এই কার্যক্রমকে সফল করতে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার ক্যাম্প করা হবে। এতে প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী যুক্ত থাকবে।

এবার করোনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই শিশুদের টীকা খাওয়ানো হবে। শহর বা গ্রামের সকল হাসপাতাল, ক্লিনিকের প্রতিটি কেন্দ্রে যেন মায়েরা তাঁদের শিশুকে এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে আসেন তার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে।আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আয়োজিত ভিটামিন- এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।স্বাস্থ্যসেবায় জাতির পিতার নানা অবদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনটি প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন দেশে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১ শতাংশ।

এরপর বঙ্গবন্ধু এই রোগ নির্মূলে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই রাতকানা রোগ নির্মূলে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেন।এখন দেশে রাতকানা রোগের হার ১ শতাংশেরও নিচে।একটি পরিবারেও যেন অন্ধ কোনো শিশু না থাকে সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগগুলো সফল হলে ভবিষ্যতে দেশে আর কোনো রাতকানা রোগী থাকবে না।এই সময়ে দেশের নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রসমূহে পর্যায়ক্রমে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের ১ লাখ আই ইউ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১ টি করে লাল রঙের ২ লাখ আই ইউ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এর পাশাপাশি ঐ সময়ে পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা জনগণের মাঝে প্রচার করা হবে।কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সকল সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-সহ সংশ্লিষ্ট পরিচালকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।