প্রধান মেনু

৩ টি উপজেলায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন স্যাপ প্রকল্প”র কৃষকদের কর্মসূচি মূল্যায়ন

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,০৫আগষ্ট ২০২০ঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নে মঙ্গলবার দুপুরে গান্না বাজারে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন স্যাপ প্রকল্প”র কৃষকদের কর্মসূচি (কর্মকান্ড)মূল্যয় করেন। দিনব্যাপী ঝিনাইদহ সদর, কালিগঞ্জ ও কাটচাঁদপুর উপজেলায় স্যাপ প্রকল্প”র কৃষকদের কর্মকান্ড মূল্যয় করেন।

এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কৃপাংশ শেখর বিশ্বাস, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোফাকখারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম,ঝিনাইদহের কৃষি প্রকৌশলী (সেচ) উজ্জল কুমার কর,এইড ফাউন্ডেশনের স্যাপ প্রকল্প”র প্রকল্প সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান,এইড ফাউন্ডেশনের পিও জিহাদুল ইসলাম,কবির হোসেন, সিও ময়না খাতুন, লাবনি খাতুন, নুপুর বিশ্বাস, কৃষক নেতা রবিউল ইসলাম, আফজাল হোসেন, ফরিদ আলী, ছন্টু মিয়া, শাহাজান আলী প্রমূখ।

এইড ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে “স্থায়ীত্বশীল কৃষি চর্চার প্রসার ঘটানোর মধ্যদিয়ে ভূর্গসথ পানির ব্যবহার কমানো প্রকল্প”র জাপান সরকারের অর্থায়নে কৃষক- কৃষাণীদের কর্মসূচি (কর্মকান্ড) মূল্যয়ন করেন কৃষি বিভাগের সরকারী কর্মকর্তাগন। কৃষক নেতা রবিউল ইসলাম বলেন,আমাদের কৃষকরা ধানের জমিতে এখন বর্তমান রবিশষ্য, গম, মসুরি, খেসারী ও সব্জী চাষ করছে ও কৃষাণীরাও অধিক আগ্রহী হয়েছে।ভেজানো শুকানো পদ্ধতিতে কৃষক ধানের চাষ করছে। এতে পানি সাশ্রয় হচ্ছে।

এছাড়াও কৃষকরা ভারমি কম্পষ্ট, মাটি পরিক্ষা, বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাজারো বিক্রী অব্যাহত রেখেছেন। প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার পূর্বে তারা রবি মৌসুমে ধান চাষে অতিরিক্ত সেচ দিতেন, এখন ভেজ নো শুকানো পদ্ধতিতে পরিমিত পরিমান পানি ব্যবহার করেন।চাষাবাদে বৈচিত্র এনে রবি মৌসুমে ধান চাষের বদলে এখন সব্জী, ডাল, তেল, গম, ভুট্টা চাষ করছেন।এতে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি পরিবেশের উন্নতিও হচ্ছে।এছাড়াও গ্রুপ গঠন, মাটি পরীক্ষা ও ভার্মি কম্পোষ্ট ব্যবহারের সুফল এবং প্রকল্পের প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা বাস্তবায়ন করে কিভাবে তাদের জীবন মানের পরিবর্তন হচ্ছে তা বর্ণনা করেন।