প্রধান মেনু

২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ প্রবাদটির গৌরবোজ্জ¦ল ঐতিহ্য আবার পুনরুদ্ধার হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪১৩৪ লাখ মেট্রিক টন, যার প্রায় ১২ শতাংশই হলো ইলিশ। দেশের জিডিপিতে স্বাদে, গন্ধে সবার সেরা ইলিশমাছের অবদান ১ শতাংশ। প্রায় ২৫ লাখ লোক ইলিশমাছ আহরণ, পরিবহণ, বিপণন ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। সম্প্রতি পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ এর ভৌগলিক নিবন্ধন প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ ইলিশ শীর্ষক ভৌগলিক নিবন্ধনসনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে এবার নিজস্ব পরিচয় নিয়ে বিশ্ববাজারে হাজির হবে বাংলাদেশের ইলিশ। মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বে উপস্থাপিত হবে ইলিশের দেশ হিসেবে। তাই ইলিশসম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৮’ উপলক্ষে আজ এক সংবাদসম্মেলনে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। সংবাদসম্মেলনে আরো জানানো হয়, বর্তমান সরকারই সর্বপ্রথম মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় জেলেদের ভিজিএফ সহায়তাপ্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং বিগত দুইবছরে মোট ১৪ হাজার ৮২৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করে।

ইলিশসম্পদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিদ্যমান আইনসংশোধন করে জাটকা আহরণের নিষিদ্ধসময় নভেম্বর হতে জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং জাটকার দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার করা হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণে বর্তমান সরকার বিগত নয়বছরে মোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৭ মেট্রিকটন খাদ্যসহায়তা প্রদান করেছে, যা বিগত ২০০৪-০৫ হতে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত চারবছরে বিতরণ করা হয়েছিল মাত্র ৬ হাজার ৯০৬ মেট্রিক টন চাল। মন্ত্রী জানান, ইলিশের কাক্সিক্ষত উৎপাদন না পাওয়ার অন্যতম প্রধানকারণ হচ্ছে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধজাল দিয়ে নির্বিচারে জাটকানিধন।

তাই জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জালনির্মূলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ হতে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ‘সম্মিলিত বিশেষ অভিযান’ পরিচালিত হয়। এ অভিযানের ফলে দশজেলায় মোট ৩৪১টি মোবাইল কোর্ট ও ৯৩৫টি অভিযান পরিচালনা করে ১৪৪২টি বেহুন্দি জাল, ৩৪০৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ২১০৫টি অন্যান্য জাল আটকসহ ৩৩৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।