২২ দিন মা-ইলিশ এবং নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৮ মাস ১০ ইঞ্চি সাইজের জাটকা ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ
১৬ মার্চ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাটে ১৬ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। সপ্তাহের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ইলিশ আহরণে উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের প্রায় ৫ লাখ প্রত্যক্ষভাবে এবং পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন,প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি ইত্যাদি কাজে পরোক্ষভাবে প্রায় ২৫ লাখ লোক জড়িত রয়েছে। নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটানা ৮ মাস ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি সাইজের জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পৃথিবীর আরো ১৩টি দেশে ইলিশ পাওয়া গেলেও বাংলাদেশই বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ এবং দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১২ শতাংশ। ইলিশের এই অবদান আরো বৃদ্ধির জন্য সরকার উপকূলীয় ৬টি এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষা এবং এর ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, জাটকা আহরণে বিরত থাকলে জেলেরাই বড় বড় ইলিশ আহরণ করে অধিক আয় করতে পারবেন। তাই তিনি মা-ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ২২ দিন (আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত চাঁদের পূর্ণিমার ৪ দিন আগে, ১৭ দিন পরে ও পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২ দিন) এবং একটানা নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত একটানা ৮ মাস জাটকা নিধন রোধে কোনো প্রকার জাল না ফেলতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপকূলীয় ৩৬টি জেলায় জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে ‘সম্মিলিত বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার কাজেও তিনি সবার সহায়তা কামনা করেন। জাটকা রক্ষার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বছরও ১৬ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯’ পালনে সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা কামনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে।
তাই এবারের প্রতিপাদ্য হিসেবে‘কোনো জাল ফেলবো না, জাটকা ইলিশ ধরবো না, এই স্লোগান বাস্তবায়নে জেলেদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-লের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চরফ্যাশন ৪ আসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, World Fish এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাল্কম ডিকশন, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বক্তৃতা করেন।