প্রধান মেনু

২০৪১ সালের মধ্যে এক হাজার গ্রামকে স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় আনা হবে—আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ আশ্বিন (২৬ সেপ্টেম্বর) : তথ্য ও  প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, পর্যাক্রমে ২০৪১ সালের মধ্যে এক হাজার গ্রামকে স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ্ সমিতি উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০ হাজার কৃষককে টার্গেট করে, সাড়ে ৩ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য এবং ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।  ২০২৫ এর মধ্যে ২০ হাজার কৃষক, ২০ হাজার ডিভাইস, সাড়ে ৩ হাজার উদ্যোক্তা এবং ১০টি ভিলেজকে ডিজিটাইজ করা হবে। এভাবে ফেইজ ওয়ান, টু, থ্রি করে ২০৪১ সালের মধ্যে ২০ লাখ কৃষক, ২০ লাখ ডিভাইস এবং সাড়ে ৩ লাখ উদ্যোক্তাকেও স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় আনা হবে।’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, স্মার্টফার্মিংয়ের এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, এই ইকোসিস্টেমের জন্য আমাদের ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার, ডিজিটাল ভিলেজেস, এমএফএস, ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রান্সজেকশন প্লাটফর্মসহ অন্যান্য কম্পনেণ্টগুলোকে একত্রিত করে কাজ করব। কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষিবিদ অর্থনীতি সমিতি এবং আইসিটি ডিভিশন যৌথভাবে মেমরেবল অভ্ আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে  ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা,  প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং  শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য  স্মার্টফার্মিংয়ের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে চাই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এমএন জিয়াউল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মঞ্জুরুল আলম।

আলোচক হিসেব উপস্থিত ছিলেন এসিআই অ্যাগ্রো লিংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও এফএইচ আনসারী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।