১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে — যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ বর্বরোচিত ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন শুধু তাদেরকে বিচারের আওতায় আনলে হবে না। যারা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, পর্দার আড়াল থেকে যাবতীয় কলকাঠি নেড়েছিল সেই কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, মেজর জিয়া ও তার দোসররা নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো। বাংলাদেশ হতে চিরতরে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য এসকল কুশীলবদের মরোণোত্তর হলেও বিচার করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দুটি একই সূত্রে গাঁথা’ উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিল। একইভাবে যারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে গ্রেনেড হামলা করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী ১৫ আগস্টের ঘটনার মূল কুশীলব হিসেবে খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানকে উল্লেখ করে বলেন, আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি এই সকল কুশীলবদের বিচার না করা হয় তাহলে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মতো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটতেই থাকবে।
রাসেল বলেন, জাতির পিতার উন্নয়ন দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিল দেশের যুবসমাজ। তিনি দেশের প্রতিটি সংকটকালীন মুহূর্তে, আন্দোলন সংগ্রামে, যুব সমাজকে সাথে নিয়ে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয়দফা, গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের যুবসমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। তিনি যুবসমাজকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন দেশব্যাপী ৪ হাজার ৩৯৫ জন যুবক ও যুব নারীকে মোট ২১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।