১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস

ঢাকা, ২৫ অগ্রহায়ণ (১০ ডিসেম্বর) : ১১ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য পাহাড়-পর্বত সুরক্ষিত রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘Restoring mountain ecosystems’ অর্থাৎ ‘পর্বত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ দবিরুল ইসলাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
পৃথিবীর মোট স্থলভাগের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত পর্বতরাশি। এ পর্বতরাশি থেকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছে পৃথিবীর প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ। এছাড়া পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ পর্বত থেকে আহরিত সম্পদের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে।
পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পৃথিবীর প্রায় এক-দশমাংশ মানুষ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে। এছাড়া, পৃথিবীর ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস এ পার্বত্য অঞ্চল। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন অপরিহার্য।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভাসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া, সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।