প্রধান মেনু

১০ বছরে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ — শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইঋজও)-এর উদ্যোগে আজ চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব, মজুদ নিরূপণএবং জাটকা সংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতির পর্যালোচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা জাটকা ইলিশের যথাযথ বৃদ্ধি ও মা-ইলিশের প্রজননের স্বার্থে দেশের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বেষ্টিত ৬টি অভয়াশ্রম রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছেন। বক্তারা আরো বলেন, ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদীতেই ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে।

ইলিশের বংশরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রজননক্ষেত্রসহ জাটকার বিচরণক্ষেত্র রক্ষা এবং সকল অবৈধ জালের কারখানা বন্ধ করতে হবে। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলেও এসব সাফল্য ধরে রাখা যাবে না বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বক্তৃতা করেন। শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুরসহ দেশের সকল ইলিশের অভয়াশ্রমে অবৈধ জালের মাধ্যমে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতাসহ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ।

প্রতিমন্ত্রী খসরু জাটকা ইলিশের পাশাপাশি মা-ইলিশের যথাযথ সংরক্ষণে প্রশাসনসহ জেলেদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জাটকা ধরা বন্ধের ৮ মাস এবং মা-ইলিশ ধরা বন্ধের ২২ দিন জেলেদের খাদ্য সহায়তাসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পরও ইলিশের ক্ষতির জন্য যারা অবৈধ জাল উৎপাদন করে জেলেদের বিপথে চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জাল উৎপাদক ও দাদনদারদের খপ্পরে না পড়ার জন্যও জেলেদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ২টি মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক অফিসার ড. আশরাফুল আলম ও মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার মনোয়ার হোসেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বক্তৃতা করেন।