প্রধান মেনু

হালুয়াঘাটে ৩/৫ কেজি ওজনের শিলা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে ১৬ হাজার পরিবার

শফিউর রহমান সেলিম, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ)  প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ১৩টি গ্রামে ৩ থেকে ৫ কেজী ওজনের শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১৬ হাজার টিনের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে রাতে বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাতে বৃষ্টি হওয়াই দুর্ভোগের মাঝে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে তাদের। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত শুকবার বিকালে প্রলয়ংকরী শিলা বৃষ্টিতে ৩ টি ইউনিয়ন তথা ১১ নং আমতৈল, ১০ নং ধুরাইল ও ৯ নং ধারা ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়িসহ কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি ও আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সয়ারিকান্ডা, চকের কান্দা, আমতৈল, বিষমপুর, বাহিরশিমুল, খন্ডল গ্রাম ও ধুরাইল, ও ধারা ইনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখন ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া গ্রামের মানুষ গুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানান, শুক্রবার বিকেলে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১৬ হাজার টিনের ঘর ছিদ্র হয়েছে। ওইসব ঘরবাড়ির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাতে ঘুমাতে পারবে না কেউ। সেই সাথে কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খরব পাওয়া গেছে। প্রতিটি শিলের উজন ছিলো প্রায় ২/৩ কেজি।
আরও জানা যায়, ওই সকল গ্রামের সকল কাঁচা ও আধা-পাকা করা টিনের ঘরগুলো ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেছে। কারও বাড়িতে টিনের ঘরের চাল পর্যন্ত নেই। ঝড়ে অনেকের ঘরের টিনের চাল বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শিলায় চালুনীর ছিদ্রের মতো হয়ে গেছে। বড় বড় ছিদ্র হয়ে প্রত্যেকটা বাড়িতেই রাতে ঘুমানোর অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে সয়ারিকান্দা গ্রামের মোজাম্মেল জানান, তিনি পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজনের শিল পড়তে দেখেছেন। তার দুটি বাড়ি ও এক একর ধানের জমি নষ্ট হয়েছে। কয়েক দিন পরেই ধান কাটার জন্য উপযোগী ছিল। আমতৈল গ্রামের নুরুল আমিন বলেন, তার ছয়টি ঘর নষ্ট হয়েছে। তিনি দেড় কেজি ওজনের শিল পড়তে দেখেছেন। হারেজ আলী জানান, তার সাড়ে নয় একর ধানের জমি ও পাঁচটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি এমন খবর শুনে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আমরা দাঁড়াব।