হার্ডওয়্যার তৈরিতে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে– আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই সফটওয়্যারে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। হার্ডওয়্যার তৈরিতেও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এ বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি একইসঙ্গে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্লাউড সেবা, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং ,ই-বুক প্রকাশ, মুঠোফোনের অ্যাপ তৈরিসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় তরুণ উদ্যোক্তাদের যে কর ছাড় দেয়া হয়েছে, তার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
৪ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জীবন ও জীবিকার বাজেট উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে আইসিটি বিভাগ ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে।
পলক বলেন, দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের অধীন স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। এটি সরকারি ভেঞ্চার কোম্পানি। ইতোমধ্যেই এই কোম্পানির মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শত বর্ষে শত আশা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশে উদ্ভাবনী অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে একটি উদ্ভাবনীমূলক উন্নত অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিগগির পূর্বাচলে একটি ভিশন ২০২১ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। সেখানে রিসার্চ, ইনোভেশন, বিজনেস অ্যান্ড ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষক, রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে।
‘তথ্যপ্রযুক্তি অর্থনীতির অক্সিজেন’ উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি বিভাগ কখনো অ্যাডভাইজরি, কখনো সাজেস্টিভ অথবা কোথাও ইমপ্লিমেন্টের রোল প্লে করবে। অর্থাৎ আইসিটি অর্থনীতির অক্সিজেনে রূপান্তরিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, বিনোদন এমনকি বিচারিক ব্যবস্থায়ও আমরা আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেন সহজ করতে ইতোমধ্যেই ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালেই উদ্বোধন করা হবে। এর মাধ্যমে ক্রেডিট স্কোরিং, রেটিংসহ পুরো ফিন্যান্সিয়াল ইকো সিস্টেমে ট্র্যান্সপারেন্সি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর, বুয়েটের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম।