প্রধান মেনু

হাতীবান্ধায় ফাতেমা হত্যার বিচার চায় পরিবার; পুনঃ ময়নাতদন্তের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ফাতেমা বেগম(২৬) হত্যার বিচার ও মরদেহ পুনঃময়না তদন্তের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটির লোকজন। এ সময় হাউ মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরে পরিবারটি। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ফেতেমার মা। সোমবার উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী পিত্তিফাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ফাতেমার বড়ভাই মতিউর রহমান।

এ সময় তার বাবা ও মা ও ফাতেমার দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৩ বছর আগে পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ইঞ্জিন পাড়ার কবেদ আলীর ছেলে আব্দুল রাজ্জাকের সাথে বিয়ে হয় ফাতেমার।বিয়ের পর এক মেয়ে ও এক ছেলে জন্ম হয়। পরিবারটি ভালই চলছিল। গত ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর আমার বোন জামাই আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে না থাকায় ফাতেমা বেগমকে রাতের আধারে দুই দেবর ও শ্বশুর মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর বাড়ির এক কিলোমিটার দুরে শ্মশানঘাট নামক স্থানে পড়নের শাড়ী দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রেখে পরিবারে লোকজন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।

পুলিশ ও চিকিৎসক টাকার বিনিময় হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেন। এ ঘটনায় আমার বাবা তমিজ উদ্দিন বাদী হয়ে লালমনিরহাট বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে জামাই আব্দুল রাজ্জাক, তার দেবর মানিক ও হানিফসহ ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা ও যেীতুকের মামলা দায়ের করেন। পরে লালমনিরহাট নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে বিজ্ঞ আদালত রংপুর পিবিআইকে পুন:রায় তদন্তেন জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। রংপুর পিবিআই মামলার সাক্ষীদের কথা না শুনে তারাও আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখিত প্রদান করেন। এই ঘটনায় বোনের হত্যার বিচার এবং ন্যায়বিচারের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে একটি আপিল করলে তা গ্রহন করা হয়।

বর্তমানে মামালাটি হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ফাতেমার মরদেহ পুন:রায় ময়না তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান জন্য অনুরোধ করেন। মৃত ফাতেমা বেগম মেয়ে রোজিনা আক্তার (৯) বলেন, আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই, আমার মাকে এনে দিন। ফাতেমার বেগমের বাবা তমিজ উদ্দিন বলেন, আজ প্রায় ১ বছর হল মেয়ের হত্যার বিচার পাইনি। তার সব টাকা দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোট পরিবর্তন করেছেন। তাই আমি আমার মেয়ের পুন:রায় ময়নাতদন্তের দাবী জানাচ্ছি।