হাতীবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ; আহত ৯
হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামে একটি যৌন হয়রানীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ধুবনী তিস্তা মোড় ও দোতরার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলার মধ্য ধুবনী গ্রামের শহিদুল ইসলাম, হালিমা বেগম, আসমাউল স্বর্না, রেজাউল করিম, আবুল কালাম, রবিউল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, আকবর আলী ও সুলতান হোসেন শিপু।
হাতীবান্ধা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই ধুবনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে মারামারির ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ শিপু ও সহকারী শিক্ষক হালিমা খাতুনসহ উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ধুবনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ শিপুর বিরুদ্ধে এক ছাত্রী ও তার বাবা আমাদের কাছে যৌন হয়রানীর অভিযোগ করেন। আমরা তদন্ত পূর্বক বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়।
প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ শিপু বলেন, আমার বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানীর অভিযোগটি আদৌ সত্য নয়। ওই ছাত্রী পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিকল্পিতভাবে আমাকে হয়রানী করতে এবং ওই স্কুল থেকে সড়ে যেতে একটি নাটক তৈরী করেছে। স্থানীয় লোকজন ব্যবস্থাপনা কমিটির ওই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করলে তাদের উপর স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন হামলা করে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(টিও) সোলেমান মিয়া বলেন, ধুবনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে ২টি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক জানায়, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।