প্রধান মেনু

হাছান মাহ্‌মুদ – প্রকাশ জাভাদকার বৈঠক

ঢাকা, ২০ কার্তিক (৫ নভেম্বর) : বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের তথ্যমন্ত্রীদ্বয়।   আজ ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকার (Prakash Javadekar) এর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী-সহ দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

‘আমরা তথ্য ও সংস্কৃতির অনেকগুলো বিষয় যেমন টেলিভিশন ও বেতার সম্প্রচার, চলচ্চিত্র শিল্প খাতে দু’দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধিকল্পে আলোচনা করেছি’ উল্লেখ করে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকার বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন এখন সমগ্র ভারতে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে দেখা যায়। একইভাবে বাংলাদেশও ভারতের ডিডি চ্যানেল ফ্রি ডিশের মাধ্যমে এখানে সম্প্রচার করছে। এটি পারস্পরিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর দু’দেশ মিলে দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে।’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন যে, ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি ছবি নির্মিত হচ্ছে এবং এর কাজ শুরু হয়েছে। সেটির অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’ ‘এছাড়া, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে, বিশেষ করে, এফডিসির অধীন যে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি আমরা নির্মাণ করেছি, সেটিকে আমরা কিভাবে একটি সুন্দর ফিল্ম সিটিতে রূপান্তর করতে পারি, সেজন্য তাদের সহযোগিতা আমরা চেয়েছি। তিনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন,’ বলেন ড. হাছান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিটিভি এখন সমগ্র ভারতবর্ষে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে সবাই দেখতে পারছে। বাংলাদেশের বেসরকারি  চ্যানেলগুলো ভারতে প্রদর্শনের জন্য কোনো বিধিনিষেধ নেই। সে কারণে সেগুলো ত্রিপুরাতে দেখা যায়। এটা আমি নিজে দেখেছি। পশ্চিম বাংলায় সেগুলো দেখা যায় না, কারণ সেখানে বাধাটা হচ্ছে কেব্‌ল অপারেটরদের পক্ষ থেকে। তারা উচ্চ ফি দাবি করে। এই বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। ভারতের মন্ত্রী বলেছেন, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে দেখবেন যাতে চ্যানেলগুলো সেখানেও দেখা যায়। কারণ পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজ। এখন এমনি
দেখা না গেলেও অ্যাপ বা ইউটিউবের মাধ্যমে সবাই দেখতে পারছে। সুতরাং আটকে রাখতে চাইলেও রাখা যায় না। এ বিষয়গুলো আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তথ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি দু’দেশের বন্ধুত্বকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে।’