প্রধান মেনু

হরিণাকুন্ডুতে প্রবাসীর বউয়ের একাধিক পরকীয়ার অভিযোগ, নতুন প্রেমিকের সাথে ঘরবাধার স্বপ্ন

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের বাথান পাড়ায় প্রবাসীর বউয়ের একাধিক ছেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ( Extramarital affair বা Extramarital sex)। প্রবাসী স্বামীর টাকা আত্মসাৎ করে ডিভোর্স  দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ঘরবাঁধার স্বপ্ন দেখছেন শিখা খাতুন।

আগামী ১৫ তারিখে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাদিখালি গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে শিপনের সাথে প্রেমিক যুগলের বিবাহ হতে চলছে। প্রবাসী বউয়ের সাথে একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ ও বিকৃত যৌনতার কারণেই ওদেরকে বিচার করা উচিত বলে এলাকা বাসি জানান। বিয়ের পর শিখা খাতুনের স্বামী বিদেশ চলে গেলে সাবেক প্রেমিকের সাথে শিখার অবৈধ পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হয়।

জানা যায়, ২০১৬ সালে একই গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমানের বড় ছেলে মোঃ শাহীন আলমের সাথে ৭বছর ধরে প্রেম শেষে বিবাহ হয় শিখা খাতুনের। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিদেশে (কাতার) এ পাড়ি দেন শাহীন। তার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় বিলাস বহুল জীবন যাপন করতো তার স্ত্রী। এদিকে স্বামী বিদেশে থাকায় সাবেক প্রেমিকদের আগমন ঘটে শিখা খাতুনের মোবাইল ফোনে। আবার নতুন করে শুরু হয় পরকীয়া। বিভিন্ন
সময়ে বিভিন্ন প্রেমিকের সাথে ঘুরতে যাওয়া সহ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে দিনপার করতে থাকেন তিনি। শিখা খাতুন উপজেলার ধুলিয়া গ্রামে তোফাজ্জেলের ছেলে মোঃ টুলু হোসেন, তাহেরহুদা গ্রামের মুকুলসহ বিভিন্ন ছেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।

শিখা খাতুনের বাবা জানান, আমার মেয়ে হরিণাকুন্ডু স্কুলে পড়তে যেতো এর মধ্যে শাহীন আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলায়ে নিয়ে, বিয়ে করে। তাদের সংসারে অভাব অনাটন দেখে ১মাস পর তাদের বিয়ে মেনে নিয়। এরপর জমি বন্ধক, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবং বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আমার জামাইকে বিদেশ পাঠাই। এরপর বিদেশ যাওয়ার পর টাকা পাঠানোর সময় আমার মেয়ের কাছে ফোন করে মা- মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন গালিগালাজ করতো। এবং তাদের পরিবারের লোকজন সবসময় ঝগড়া করতো। এই গোলযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিলো। যার কারণে মেয়ের সুখের কথা ভেবে আমার মেয়ে নিজেই তাকে ডিভোর্স দেয়।

আর আমার মেয়ের অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো কি না তা জানিনা। তবে কাদিখালি গ্রামের রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে শিপনের সাথে সম্পর্ক হলে তা জানাজানি হয়। পরে সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি সহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামী থেকে আগামী ১৫ তারিখে বিবাহের দিন ঠিক করা হয় এবং বিবাহের দিনে ৪০জন বরযাত্রীও আসার কথা আছে।

প্রবাসী শিপন জানান, শিখার সাথে আমার ৭ বছর ধরে প্রেমের পর ২০১৬ সালে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে আমাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর পারিবারিক ভাবে অস্বচ্ছলতায় পড়ি। সেই কারনে আমি বিদেশ পাড়ি দিয়। এই সুযোগে আমার স্ত্রী তার মায়ের প্রলোভনে পড়ে বিভিন্ন জনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি শুনতে পায় কাদিখালি গ্রামের এক ছেলে সাথে প্রেম করে ধরা পড়ে আমাকে ডিভোজ দিয়ে তার সাথে বিবাহ হতে চলেছে। কিন্তু আমি তাকে বিশ্বাস করে তিন বছরে ৩,৫০,০০০/- টাকা দিয়েছি। এবং আমার শ্বাশুড়ির নিকট দিয়েছি ১ লক্ষ টাকা। এখন আমি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি সমাজের ও দেশের মানুষের কাছে বলতে চাই আর কোন প্রবাসীর স্ত্রী এমন জঘন্যতম কাজে লিপ্ত হতে না পারে। এবং প্রশাসনের কাছে দাবি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে তাকে যেন কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করে।