শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর নারায়নকান্দী গ্রামের বেলেমাঠে অবৈধ ভাবে উত্তোলিত বালির গর্তের পাড় ধষে শত বর্ষী এক বৃদ্ধের করুন মৃত্য হয়েছে।মৃত ব্যক্তি একই গ্রামের বেলেপাড়ার মৃত গফুর মন্ডলের পুত্র আনসার মন্ডল (৯৫) বলে জানা গেছে।একালাবাসি ও মৃতের স্বজনেরা জানান, বেলা ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাঁড়া দিতে আনসার মন্ডল বাড়ীর কাছাকাছি আক্তার মেম্ববরের বালির গর্তের পাড়ে যায়। ঘন্টাখানিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সে বাড়িতে ফেরে না।বাড়িতে ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় স্বজনরা খোঁজ নিতে বের হলে বালির গর্তের পানিতে মৃত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখতে পায়।শৌচ কার্য সম্পাদন কালে বালির গর্তের পাড় ধষে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মৃতের স্বজন ও এলাকাবাসি ধারণা করছে।

ইতিপূর্বে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করে। যার ফলে কিছুদিন বালি উত্তোলন বন্ধ থাকে। কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানে অদৃশ্য কারণে আবার শুরু হয় অবৈধ বালি উত্তোলন। যার করুন পরিনতি হলো আনসার মন্ডলের মৃত্যু। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর উত্তোলন কিছুদিন বন্ধ ছিল।

নতুন করে বালি উত্তোলনকারীদের এ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ধ্বংশ, গাড়ি জব্দসহ মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আসাদুজ্জামান বলেন, নারায়নকান্দী ফাঁড়ীর আইসির মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি , মৃতের আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অবৈধ বালি উত্তোলনের বিষয়ে এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, যেভাবে কয়েক বছর ধরে নারায়নকান্দী এলাকাতে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে, এতে নারায়নকান্দী গ্রামেরে একটি বিপুল এলাকার কৃষি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে যত্রতত্র খাঁনা খন্দ গর্ত সৃস্টিতে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। আনসার মন্ডলের মত আর কোন ব্যক্তির যাতে অনাকাঙ্ধিসঢ়;ক্ষত মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা ।