স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে — টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

সাভার, ২৭ বৈশাখ (১০ মে): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবক তৈরি এবং ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তিতে শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতাও অর্জন হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আজ সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে, এটুআই এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ওয়ার্ক ফোর্স ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যলিউশন: এ কেস স্টাডি ফর এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যলিউশন সামিটে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বড় শক্তির নাম মানুষ। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষের কথা বলেছেন। আগামী দিন রোবট-আইওটি-এআই দিয়ে শিল্প কারখানা চলবে। এসব প্রযুক্তির জন্য সংযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করতে হবে। সরকার সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছে। নতুন শিল্পবিপ্লবের সংযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে সরকার ফাইভ জি পরীক্ষা করে তার উদ্বোধনও করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি হোক বা জ্ঞান হোক তোমরা তোমাদের নিজেদের মতো করে তা গ্রহণ করবে এবং তা আত্মস্থ করে প্রয়োগ করতে হবে। তিনি তাদেরকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য নিজেদের উপযোগী করে তৈরি করার আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের
পক্ষে-বিপক্ষে মত আছে। এই মতবিরোধ থেকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের ধারণা সমাদৃত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যান্ত্রিক। অন্যদিকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লব যন্ত্র ও মানুষের মিশেলে মানবিক। আমাদের কাছেও মানুষ আগে যন্ত্র পরে। মানুষ ও যন্ত্রের মিশেলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।