স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে সরকারের ভ্যাকসিন ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) : আজ মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে সরকার ও বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আগামী ছয় মাসে (প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে) মোট তিন কোটি ভ্যাক্সিন আমদানি করবে।
চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি আজ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের দায়িত্বশীল অথরিটির নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অথরিটি চুক্তিপত্রটিতে স্বাক্ষর করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুনরায় দেশে পাঠিয়ে দেবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে যে ভ্যাক্সিন সরকার নিচ্ছে সেটি হচ্ছে অক্সফোর্ডের এস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন। এই ভ্যাক্সিন বিভিন্ন দেশের ট্রায়ালে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে হয়েছে এবং এই ভ্যাক্সিন আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি ভ্যাক্সিন আমদানি করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে এই ভ্যাক্সিন আগামী ছয় মাস দেশে আনা হবে।
এস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন এর পাশাপাশি আরো কিছু কোম্পানির সাথেও সরকারের আলোচনা চলমান রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এস্ট্রেজেনেকা ভ্যাক্সিনটি দেশে চলে আসবে। এর মধ্যে অন্য ভ্যাক্সিনগুলোও আমদানি করার কাজ অগ্রগামী হবে। দ্রুত ভ্যাক্সিন ক্রয়ে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভ্যাক্সিন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত কর্মকর্তাদেরও এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।
একই দিনে অন্য একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে কোভিড -১৯ সংক্রান্ত জাতীয় গাইডলাইন সমুহের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কোভিড মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতের অবদানের কথা তুলে ধরেন।