প্রধান মেনু

স্বামীর পরকীয়ার বলি নববধু

বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃসোহেল রানাঃ রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলায় মিতা খাতুন (২০) নামে এক নববধু স্বামীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন । এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে । রবিবার ৫ ফেব্রুয়ারী দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার শালমাড়া গ্রামের শশুর বাড়ি থেকে মিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । তিনি শালমারা গ্রামের মোস্তাক ফকিরের স্ত্রী ও একই উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের শামসুল শেখের মেয়ে ।

স্থানীয়রা জানান, মাত্র দুই মাস আগে মোস্তাক ফকিরের সাথে মিতার বিয়ে হয়।বড় ভাই বিদেশে থাকায় মোস্তাক আপন ভাবীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।সম্পর্কের বিষয়টি মিতা টের পেয়ে গেলে স্বামীর সাথে কলহের সৃষ্টি হয়।রোববার সকালে ঘরের আড়াঁর সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মিতার মরদেহ উদ্ধার করে শশুর বাড়ির লোকজন। স্থানীয়দের ধারনা দাম্পত্য জীবনে কলহের জেরে আত্নহত্যা করে থাকতে পারেন মিতা ।

মিতার স্বজনেরা জানান , বিয়ের পর থেকেই  শশুর বাড়ির লোকজন  যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন তার পরিবারকে । অনেক সময় যৌতুকের টাকার জন্য তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন খারাপ ব্যাবহার করতেন মিতার সাথে । এদিকে মিতার বড় চাচা বজলুর রহমান জানান , রোববার সকাল ৭ টার দিকে মোবাইল ফোনে  কথা বলেন মিতার পরিবারের লোকজন । সকাল ৮ টার দিকে মোবাইল ফোনে মিতার শশুর জানান , সে আত্নহত্যা করেছে । যৌতুকের টাকা আর স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক জেনে যাওয়া মিতার জীবনের কাল হয়ে দাড়ায় জানান তিনি ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন , শশুর বাড়ির লোকজন মিতাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন । এদিকে মিতার স্বামী মোস্তাক ফকির জানান , মিতার পরিবারের হত্যার অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা । তাকে তারা হত্যা করেননি । সে নিজেই গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন ।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাতীয় গোয়েন্দা সংবাদকে  জানান , দুপুর দেড়টার দিকে শশুর বাড়ি থেকে মিতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । এটি হত্যা নাকি আত্নহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।