স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে কপিলমুনি মুক্ত দিবস সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক

এস এম আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) : ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের সহযোগিদের এ দেশের মুক্তিকামী বীর জনতা রুখে দিয়েছিল। দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তাঁদের পরাজিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। সেই স্বাধীনতার সুফল এখন বাংলার প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের তেজদীপ্ত ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে সেদিন বাঙ্গালীরা ঘরে বসে না থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা অর্জন করে। তাই কোন ক্রমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং এর স্বাধীনতা ভূলন্ঠিত হতে দেয়া হবে না।
পরাজিত পাকিস্থানী শক্তির দোসররা এখনও এ দেশে ঘাঁপটি মেরে আছে, সুযোগ পেলেই তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। এ জন্য স্বাধীনতা পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। সজাগ থাকতে হবে সকল দেশ প্রেমিককে। এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারি উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রমৌলবাদের ঠাঁই এদেশে নাই। যারা ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙ্গার নির্দেশ দেয় এরা ভন্ড। বি এন পি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত নেতা নিজামি ও মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দিয়ে মহান স্বাধীনতাকে চরম অপমান করেছে।
শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশের সকল অপশক্তির বেদিমূল গুড়িয়ে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। দক্ষিণ বাংলার শীর্ষ বানিজ্যিক স্থান কপিলমুনির ঐতিহাসিক মুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকাল ৪ টায় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল এন্ড কলেজ ময়দানে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এম পি এ সব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন কপিলমুনি যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণের পাশাপাশি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর প্রতিষ্ঠিত কপিলমুনির ইতিহাস ঐতিহ্য সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা-৬ এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হানিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান সিয়াব উদ্দিন ফিরোজ বুলু, ইউ পি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তুহিন, আ’ লীগ নেতা ইকবাল হোসেন খোকন, প্রভাষক মঈনুল ইসলাম, এস এম শামছুর রহমান, আনিছুর রহমান মুক্ত, কাজল কান্তি বিশ্বাস, এম এম আজিজুল হাকিম, জেলা যুবলীগ নেতা প্রমূখ।
এর আগে মন্ত্রী কপিলমুনি বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্প মাল্য অর্পন করেন এবং কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ও রাজাকারদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি রায় সাহেবের সুরম্য অট্টালিকাটি পরিদর্শন করেন। এদিকে কপিলমুনি বহুমুখি মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি ও কপিলমুনি আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি পৃথকভাবে মুক্ত দিবস পালন করে। সমিতির নিজস্ব কার্যালয় চত্ত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাত হোসেন বাচ্চু, বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।ছবি ক্যাপশনঃ কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স উদ্ভোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ, ক, ম, মোজাম্মেল হক। কপিলমুনি মুক্তদিবস উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।