প্রধান মেনু

স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহী হাঙ্গেরি

ঢাকা, ২৬ ভাদ্র (১০ সেপ্টেম্বর) : হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজিজারটো বলেছেন, হাঙ্গেরির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য একটি জয়েন্ট ট্রেড কমিশন গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হাঙ্গেরি এগ্রোফুড প্রসেসিং ইন্ডাষ্ট্রিসহ বাংলাদেশের বিশুদ্ধপানি ব্যবস্থাপনা ও ফার্মাসিউটিকেল সেক্টরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক ইন্ডাষ্ট্রিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে।

সফররত হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এর নেতৃত্বে আগত উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্‌শির সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা আকর্ষনীয়, হাঙ্গেরি এসকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে চায়। করোনা মোকাবিলা এবং করোনাকালে রপ্তানি বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় হাঙ্গেরি অংশীদার হতে চায়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত তৈরি পোশাক। বাংলাদেশ পৃথিরীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এ সেক্টরে প্রায় ৪৮ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। সরকার এ শিল্পকে সচল রাখতে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালু রেখে রপ্তানি বাণিজ্য সচল রেখেছে। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের চাহিদা মোতাবেক বিশ্বমানের মাস্ক পিপিইসহ বিভিন্ন মেডিকেল পণ্য রপ্তানি করছে। বাংলাদেশ কোভিড-১৯ প্রতিরোধকারী ফ্যাব্রিক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এগুলোর চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশ বিশ্বমানের মেডিকেল পণ্য উৎপাদন করে প্রায় ১৪২টি দেশে রপ্তানি
করছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ তথ্য জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে জাপান, ভারত, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতিতে আমেরিকা, জাপানসহ অনেক দেশ তাদের শিল্প-কলকারখানা বাংলাদেশে স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করছে। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে টিপু মুনশি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে একটি জয়েন্ট ট্রেড কমিশন গঠনের মাধমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে।

এগ্রোফুড প্রসেসিং, বিশুদ্ধপানি ব্যবস্থাপনা এবং ফার্মাসিউটিকেল সেক্টরে হাঙ্গেরির বিনিয়োগকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। এছাড়া, আইসিটি, বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ১৮ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি করেছে ১১ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। আগামী একসপ্তাহের মধ্যে হাঙ্গেরি জয়েন্ট ট্রেড কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রেরণ করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজমসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।