প্রধান মেনু

স্পিকারের সাথে মিয়া সেপ্পো’র নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এর নেতৃত্বে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে। এ সময় তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সরকারের জবাবদিহিতা, মানবাধিকার কমিশনের বিদ্যমান আইন ও কার্যাবলী এবং গণতন্ত্রের বিকাশে সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যগণ হলেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্রাকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোট্টা স্লাইটার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেন্সটেইন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফার্ষ্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) এরিকা হ্যাজনস, ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমূখ।

স্পিকার বলেন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী যা গণতন্ত্রের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন এবং কমিশনের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আলোকপাত করেন। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমূহে মানবাধিকার কমিশন যে সকল আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ মর্মে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্পিকার একমত পোষণ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের আইন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আইন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন মর্মে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন। এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।