নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে এবার রেলওয়ে পুরাতন সরকারী কোয়ার্টার দখলে নিয়ে তা ভেঙে নতুন করে ঘর তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় ঘর তৈরির কাজে বাঁধা দিতে গেলে রেলওয়ে এক কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ওই রেলওয়ে কর্মকর্তা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে শহরের পুরাতন মুন্সিপাড়ায় রেলওয়ে কলোনীতে বেশকিছু রেলওয়ে সরকারি কোয়ার্টার রয়েছে। অনেকেই এসব সরকারি রেলওয়ে কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখলে নিয়ে বসবাস করে আসছে। ঘটনার দিন গতকাল সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে মুন্সিপাড়া এলাকার মো. আরশাদ আলী পাপ্পু তাঁর সঙ্গীয় সাজু ও মাহবুবকে সঙ্গে নিয়ে রেলওয়ে কলোনীতে অবস্থিত ৩৪১/ডি নম্বর রেলওয়ে কোয়ার্টারটি অবৈধ দখলে নিয়ে তা ভেঙে নতুন করে ঘর তৈরি করছিল।

খবর পেয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (পূর্ত) মো. তহিদুল ইসলাম তাঁর দপ্তরের নৈশ প্রহরী দুলাল প্রামানিককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অবৈধ দখলকারী আরশাদ আলী পাপ্পুর কাছে সরকারি রেলওয়ের পুরাতন কোয়ার্টার ভেঙে নতুন করে ঘর তৈরির বিষয়ে জানতে চান।

এ সময় আরশাদ আলী পাপ্পু তহিদুল ইসলামের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং তাকে মারপিট করে এলাকা ছাড়া, চাকরি খেয়ে ফেলাসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন। শুধু তাই নয় রেলওয়ে কোয়ার্টারের অবৈধ দখলকারী আরশাদ আলী পাপ্পু তহিদুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় এবং শারিরীকিভাবে লাঞ্চিত করে।

এ সময় তহিদুল ইসলাম অনেকটা নিরুপায় হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরশাদ আলী পাপ্পু, সাজু ও মাহবুবকেআটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারি তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আটককৃদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সৈয়দপুর থানায় ওসি মো. শাহজাহান পাশা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গতকালই আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।