প্রধান মেনু

সৈয়দপুরে র‌্যাবের অভিযানে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ১৫৭৪ টি শাড়ী সহ বিভিন্ন দ্রব্য উদ্ধার ॥ গ্রেফতার ১

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥ র‌্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী, র‌্যাব ক্যাম্পের একটি দল ৩০ মে ভোর রাতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌর সভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ী আল-ফারুক স্কুল সংলগ্ন রোড সাদরা লেন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানীকৃত আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার ও জব্দ করেছে।

এসময় চোরাচালান ও অবৈধভাবে বিক্রির সাথে জড়িত থাকার কারনে কামরুল নামে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কামরুলের নিকট হতে শাড়ী বিক্রির নগদ ৪৫ হাজার ৯শ’ ৪০ টাকাও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, বিছানার চাদর, শাল, ব্লেন্ডার মেশিন, প্রেসার কুকার। সমস্থ মালামালসহ উক্ত আসামীকে মামলা প্রদানের মাধ্যমে সৈয়দপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সৈয়দপুরে চোরাই পথে নিয়ে আসা বিভিন্ন ব্রান্ডের ভারতীয় শাড়ী কাপড়, শাল,নগদ টাকাসহ প্রায় ২৮ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে র‍্যাব-১৩ সিপিসি- ২ নীলফামারী ক্যাম্পের সদস্যরা সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি সাদরা লেন এলাকার বেলাল হোসেনের বাড়ী থেকে বিপুল পরিমান ওইসব মালামাল উদ্ধার করে।

এঘটনায় গত ৩১ মে শুক্রবার রাতে র‍্যাব বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছে। মামলার পর আসামী কামরুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে থানা পুলিশ তাঁকে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

সুত্র জানায়,পবিত্র ঈদ ও ঈদের পর বিয়ে সাদির মওসুম ধরতে ভারত থেকে চোরাইপথে শাড়ী, কাপড়, শাল, চাদরসহ অন্যান্য মালামাল এনে সৈয়দপুরে মজুদ করতো চোরাকারবারী ব্যবসায়ী কামরুল। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসব কারবার করতো সে। র‍্যাব- ১৩ সিপিসি – ২ নীলফামারী ক্যাম্পের সদস্যরা বিষয়টি গোপন সংবাদে জানতে পারে। পরে র‍্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর এটিএম নাজমুল হুদার নির্দেশে র‍্যাবের উপ সহকারি পরিচালক (ডিএডি) মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার সাদরা লেনের বেলালের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।

এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া কামরুলের ঘর থেকে ১ হাজার ৫৬ পিস বিভিন্নব্রান্ডের ভারতীয় শাড়ি কাপড়, ৪৮৮ পিস শাল চাদর, ১০ পিস প্রেসার কুকার, এশটি ব্লেন্ডার মেশিন, নগদ ৪৪ হাজার ৯৪০ টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় শহরের মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর এলাকার মৃত নিয়াজীর পুত্র চোরাকারবারী কামরুলকে (৬২)। এঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাবের ডিএডি আব্দুস সালাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. আরমান আলী জানান, গ্রেফতার হওয়া কামরুলের সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। কামরুলকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। র‌্যাব-১৩, নীলফামারী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ টি এম নাজমুল হুদার এ ব্যাপারে জানান, র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, জঙ্গীবাদ দমন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

র‌্যাব শুরু থেকে যে কোন ধরণের অপরাধী, অপহরন, মাদক উদ্ধার, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান এবং বিভিন্ন প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারসহ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে সার্বক্ষনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তারই আলোকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে উল্লেখিত পরিমান ভারতীয় অবৈধ চোরাচালানকৃত মালামাল উদ্ধার করাসহ ১ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।