সৈয়দপুরে মটর মালিক ও শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ॥ চরম জন ভোগান্তি
মো: শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে মটর মালিক ও শ্রমিকরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে মহাসড়কসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ৪ ফেব্রয়ারী সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সড়কে বের হওয়া পথচারীসহ বিভিন্ন যান বাহনে সৈয়দপুরে আসা ও সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সময় যাত্রীরা আটকা পড়ে।
বিশেষ করে স্কুল-কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, আকাশ পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ও আসা যাত্রীরাসহ শহরের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম বিপাকে পড়ে অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হয়। মহাসড়কে ইজি বাইক (অটো) চলাচল বন্ধের দাবিতে নীলফামারী জেলা মটর মালিক ও শ্রমিকরা যৌথভাবে সৈয়দপুর-রংপুর, সৈয়দপুর-দিনাজপুর, সৈয়দপুর-পার্বতীপুর ও সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়ক সহ শহরের ক্যান্টনমেন্ট রোড, শেরে বাংলা (সিনেমা) সড়ক, শহীদ ডা. জিকরুল হক রোড, বঙ্গবন্ধু (রংপুর) সড়ক ও তুলশীরাম (দিনাজপুর রোড) সড়কের বাস টার্মিনাল, ওয়াপদা মোড়, রাবেয়া মোড় ও শহরের প্রাণ কেন্দ্র পাঁচমাথা মোড় সংলগ্ন ১ নং রেলঘুমটিতে (যা শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতের প্রধান সড়ক) এলোপাথারী পিকআপ ও ট্রাক দাড় করিয়ে রেখে ১ ঘন্টাব্যাপী অবরোধ কর্মসূচী পালন করে।
এতে মূহুর্তে পুরো সৈয়দপুর শহর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যোগাযোগ সম্পূর্ণরুপে থমকে যায়। এর ফলে ওইসব সড়ক ও মহাসড়কে শত শত গাড়ী আটকা পড়ায় চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। সে সাথে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী, পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে সৈয়দপুরের অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্ট বোর্ড স্কুল, সরকারী কারিগরী মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল( ও লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর ডিগ্রি কলেজ, মহিলা কলেজ এবং আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছতে বা বাড়ি ফিরতে পারেনি। একইভাবে রোগীরা বিভিন্ন যানবাহন যোগে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় পথে আটকা পড়ে। সে সাথে চাকুরীজীবিরা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বিপাকে পড়ে।
পরে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া শহরের ১ নং রেলঘুমটিতে উপস্থিত হয়ে মটর শ্রমিক ও মালিকদের দাবি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য আগামী ৫ ফেব্র“য়ারী সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদে বসার আহ্বান জানান। এতে সম্মত হয়ে মটর মালিক ও শ্রমিকরা তাৎক্ষনিক অবরোধ তুলে নেয়। তারপরও প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী সৃষ্ট যানজট নিরসনে আরও প্রায় ১ ঘন্টা ভোগান্তির শিকার হয় সৈয়দপুরবাসী। পদের মধ্যে শুন্য রয়েছে ২২ টি, কঞ্জারভেন্সী ক্লিনার ৪৩১ টি পদের মধ্যে শুন্য রয়েছে ১৩৮ টি পদ। এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. শামছুল আলম মো. এমতেয়াজ জানান, রেলওয়ের সকল নিয়োগ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। মন্ত্রনালয় কখন নিয়োগ দেবে সেটা আমাদের জানা নেই। তবে সা¤প্রতিক সময়ে ১৬ জন এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের ট্রেনিং চলছে, ট্রেনিং শেষে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পোস্টিং দেওয়া হবে।