প্রধান মেনু

সৈয়দপুরে ভারতীয় মহিষের ২শ’ কেজি কলিজা জব্দ

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভারতীয় মহিষের ২ কেজি কলিজা জব্দ করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন এগুলো জব্দ করে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত কলিজাগুলো ধ্বংস করা হবে এবং এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে রংপুর থেকে আসা একটি মিনিবাস থেকে ২০টি পলিথিনের বস্তায় রাখা কলিজাগুলো নামিয়ে একটি রিক্সাভ্যানে করে সৈয়দপুর শহরে নেওয়ার মূহুর্তে সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাদিম কোরাইশী ছটুর নেতৃত্বে কয়েকজন তা আটক করে।

এ সময় কলিজার মালিক সটকে পড়ে। পরে বিষয়টি সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কলিজাগুলো জব্দ করে। ১০ কেজি ওজনের ২০টি পলিথিনের বস্তায় করে এ কলিজাগুলো ঢাকা না রংপুর থেকে আনা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে বস্তার ভিতর থেকে বের করে দেখা যায় যে কলিজার প্যাকেটের গায়ে আলানা হাউস, মুম্বাই রোড, কেরালা লেখা রয়েছে। যা ঢাকার মিরপুর পল্লবীর পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ এর চালানের মাধ্যমে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট এলাকার মাংস ব্যবসায়ী আরমানের নামে পাঠানো হয়েছে। চালানের মেমোতে এই মাংস ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ এ ভাবে ভারত থেকে আমদানীকৃত গরু ও মহিষের মাংসগুলো মূলতঃ হালালভাবে জবাইকৃত পশুর না মৃত পশুর তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়না। ভারত যেখানে জীবিত গরু আমদানীতে বাধা দেয় সেখানে কিভাবে গরু বা মহিষের মাংস বা কলিজা এদেশে আসছে? এতে সন্দেহ রয়েই যায় যে এগুলো কোনভাবেই শরিয়ত সম্মতভাবে প্রসেস করা হয়নি। তাই এগুলো খাওয়া মুসলমানদের জন্য উচিত হবেনা। এধরণের আমদানী বন্ধ করা প্রয়োজন। সৈয়দপুরের কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ দিন থেকে কলিজা ও মাংস এনে সৈয়দপুর শহর ও গ্রামে গঞ্জে বিক্রি করা হচ্ছে। যা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাদিম কোরাইশী ওরফে ছটু কসাই ভালো করেই জানেন। এর বিনিময়ে তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন।

কিন্তু যখনি কোন আমদানীকারক মাংস ব্যবসায়ীর সাথে তার বনিবনা হয়না তখনি তিনি এভাবে মাংস ধরিয়ে দেন। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কলিজাগুলো জব্দ করার পর ধ্বংস করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এধরণে মাংস বা কলিজা আমদানী না করার বিষয়ে জানানো হবে।