শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী  প্রতিনিধি ॥ নারী ও শিশুর উপর ধর্ষণ ও সকল যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা এরই আলোকে দেবী চৌধুরানী পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (ডিসিপিইউকে) রংপুর ’’ডিএফআইডি ইউকেএইড’’ এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং ’’মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’’ এর কারিগরি সহযোগিতায় ’’হরিজন জনগোষ্ঠির দক্ষতা এবং আত্ববিশ^াস বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’’ মাধ্যমে এক মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর সকালে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সৈয়দপুর পৌরসভার অধিবেশন কক্ষে এ সংক্রান্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জিয়া।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর কাজী জাহানারা পারভীন, সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আইয়ুব আলী, ইপিআই কার্যক্রমের সুপারভাইজার ছালেহ আহম্মেদ এবং রংপুৃরের ডিসিপিইউকে এর সিসিএইচসি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: আব্দুস সামাদ, প্রজেক্ট অফিসার হাবিবা সুলতানা, ফিল্ড ফেসিলিটেটর ফারজানা জামান, মানবী কুমারী ও ভলান্টিয়র শিখা রানীসহ সৈয়দপুর এলাকার উক্ত প্রকল্পের লক্ষ্যভুক্ত ৭০ জন নারী পুরুষ।

মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বলেন, আমরা জানি,বর্তমানে নারী ও শিশুদের প্রতি ধর্ষন ও যৌন সহিংসকতার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। যার ধরণ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে এবং ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। শুধু মেয়ে শিশুরাই নয় ছেলে শিশু, প্রতিবন্ধি শিশুর প্রতিও ঘটছে ধর্ষণ, যৌন হয়রানী ও হত্যার মত ঘটনা। বক্তাগন বলেন যারা শিশু ধর্ষন করেন তারা পুরুষর সমান এবং তাদের সাধারন মানুষ হিসেবে মনে করা য়ায় না। সেজন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। সেজন্য আমাদের সকলকে এক সাথে এর প্রতবিাদ করতে হবে।

এই ঘটনানাগুলোর প্রতিবাদের জন্য আমাদের সকলকে আলোচনা সভা করতে হবে এবং তাদের বিচার দ্রুতকার্যকর করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্ববান করছি। প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুস সামাদ বলেন, আজ আমাদের দেশে যে ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলোকে প্রতিবাদ না করলে ঘটনা আরও বাড়তে থাকবে।তাই সকলের প্রতি আহবান করেন যে যেখানে নারী ও শিশু হয়রানী ও সহিংসতার ঘটনা দেখব সেখাই সাথে সাথে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। তাই আমাদের দেশে নারী ও শিশুরা নিরাপদে স্কুলে ও কর্মস্থালে যাতায়াত করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদের জন্য জন্য সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ের মানুষকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে ।