শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিজ বাড়িতে গৃহবধূ সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) গলা কেটে জবাই করে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার পৃথক পৃখক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সৈয়দপুরের ঘোড়াঘাট এলাকার মোঃ মুন্নার ছেলে জীবন (১৯) এবং মৃত সাগিরের ছেলে রাজা (১৫)। নীলফামারী আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে তাদের নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়। সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল গৃহবধূ পপিকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক দুই আসামীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট ঘোড়াঘাট এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলুর স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপি (৩৫)। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হিটলার চৌধুরী ভলু বাদী হয়ে ওই দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামীরা গা ঢাকা দেয়। এ অবস্থায় বাদী নিজ প্রচেষ্টায় সুকৌশলে আসামীদেরকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসেন।

পুলিশ এ খবর পেয়ে তৎকালীন ওসি মোঃ শাহাজাহান পাশার নেতৃত্বে বাদীর বাড়িতে হাজির হলে আসামী হস্তান্তর নিয়ে পুলিশের সাথে হিটলার চৌধুরীর বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এরই ফাঁকে এজাহারভুক্ত আসামী জীবন ও রাজা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সৈয়দপুর থানার তৎকালীর ওসির অভিযোগ ছিল, বাদী দুই আসামীকে তার বাড়ীতে এনে পুলিশে সোপর্দ না করে তাদের ম্যানেজ করতে গোপন বৈঠক করছিলেন। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেন বাদী হিটলার চৌধুরী উল্টো পুলিশকেই দোষারোপ করে। ওই ঘটনার পর থেকে আসামী জীবন ও রাজা পলাতক থাকে। এ অবস্থায় সৈয়দপুর থানা পুলিশ পলাতক দুই আসামী গ্রেফতারে বিভিন্ন সোর্স নিয়োগ করাসহ নানা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দুজনকে এদিন গ্রেফতার করা হয়।